এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),৩১ জুলাই : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার রাজুয়া গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিশাল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল গত ৪ জুলাই রাতে ৷ বিস্ফোরণে বীরভূমের এক দুষ্কৃতী বরকত শেখের (২৮) মৃত্যু হয় । আহত হয় ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সেখ তুফান চৌধুরী এবং আরও ২ দুষ্কৃতী ইব্রাহিম সেখ ও সফিক মণ্ডল । তারপর ফরেন্সিক দল ও পুলিশ গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ৭ কেজি বোমার মশলা উদ্ধার করে রাজুয়া গ্রাম থেকে । তার মধ্যে পাঁচ কেজি উদ্ধার হয়েছিল ঘটনাস্থল থেকে । বাকি দুকেজি পাওয়া যায় মূল অভিযুক্ত ধৃত তুফান চৌধুরীর বাড়ি থেকে। আজ বৃহস্পতিবার সিআইডি বোম্ব স্কোয়াডের একটি দল ওই মশলা অজয়নদের ধারে নির্জন এলাকায় গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে । যদিও কাটোয়া থানার পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও সন্দেহ দানা বাঁধছে । কারন বিস্ফোরণের ঘটনার পর আজও এত বিপুল পরিমান বোমা বাঁধার কারন সম্পর্কে নাকি পুলিশ নিজেই অন্ধকারে আছে । আর পুলিশের এই ভূমিকাকে সন্দেহজনক বলে মনে করছেন দাঁইহাটের বাসিন্দা আইনজীবী শুভেন্দু দাস। ইতিমধ্যে তিনি এনআইএ তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন৷ তিনি বলেন,’পুলিশ সঠিক তদন্ত করতে পারছে না বা করছে না বলেই আমি জনস্বার্থে এনআইএ তদন্ত চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আমার এই আবেদনটি বিবেচনাধীন রয়েছে।’
প্রসঙ্গত,বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে একজনের মৃত্যু এবং তিনজন দুষ্কৃতী জখম হয় । জখমদের মধ্যে ছিল বোমা বাঁধার মাস্টারমাইন্ড রাজুয়া গ্রামের বাসিন্দা দুষ্কৃতী তুফান চৌধুরীও। ওই ঘটনায় তুফান সহ মোট ১৩ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এযাবৎ । ধৃতরা এখন জেলে । বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনদিনের মাথায় ঘটনাস্থল থেকে মোট ৫ কেজি বোমার মশলা ছাড়াও সুতলি দড়ি, মোবিলের জার এবং প্লাস্টিক প্রভৃতি বোমা তৈরির উপকরণ উদ্ধার হয় । এছাড়া দুষ্কৃতী তুফান চৌধুরীর বাড়ি থেকে আরও দুই কেজি বোমার মশলা ও দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তুফান চৌধুরী কি উদ্দেশ্যে দশ কেজির বেশি মশলা কিনে বিপুল পরিমাণ বোমা বাঁধাচ্ছিল তা নিয়ে এখনও সঠিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ । আর এতেই পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা ও আইনজীবী শুভেন্দু দাস । এই প্রশ্ন তুলে খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশে তাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কৃত হতে হয়েছে । উল্লেখ্য,যুব তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন শুভেন্দু দাস। কিন্তু রাজুয়া গ্রামে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক মজুত করার নেপথ্যে আসল উদ্দেশ্য জানতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্তের আবেদন জানাতে তিনি দলের বিষ নজরে পড়েন ।।

