এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১২ ফেব্রুয়ারী : প্রাথমিক স্কুল থেকে ক্লাসে প্রথম হওয়া শুরু করেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহিরের বিদ্যাসাগর পল্লীর বাসিন্দা দেবদত্তা মাজি। তারপর ক্রমশ শ্রেণীকক্ষের বদল হলেও কেউ তার প্রথম স্থান দখল করতে পারেনি । দেবদত্তা তার জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক দিয়েছিলেন ২০২৩ সালে । ফলাফল যখন বের হয় তখন গোটা কাটোয়া শহর দেবদত্তার ফলাফলে উদ্বেল হয়ে উঠেছিল । কারন মাধ্যমিকেও তিনি রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেন ৷ বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে পড়াশোনা করছেন তিনি । তারই ফাঁকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেছিলেন দেবদত্তা । কিন্তু তাতেও কাটোয়ার এই মেধাবী ছাত্রীর কাছ থেকে শীর্ষস্থান কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনি । এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ফল ঘোষণার পর দেখা যায় মেধা তালিকার শীর্ষে রয়েছে সেই দেবদত্তার নাম । আর সারা দেশের মধ্যে ১৫ তম স্থান দখল করেছেন তিনি ।
আজ বুধবার ফলাফল প্রকাশ হতেই কাটোয়াবাসীর মধ্যে ব্যপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায় । দেবদত্তার বাড়িতে কাটোয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস ও কাটোয়া শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেবার জন্য পৌঁছে যান কাটোয়ার পৌরপ্রধান সমীর কুমার সাহা। প্রতিবেশীরাও ভিড় জমান । জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন ২০২৫ (মেইনস) পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা , রসায়নবিদ্যা এবং গণিত এই তিনটি বিষয় মিলিয়ে ৯৯.৯৯৯২১ শতাংশ ফলাফল করেছেন দেবদত্তা মাজি। তিনি জানান,প্রথম থেকেই তার লক্ষ্য ছিল আইআইটিতে ভর্তি হওয়া । সেই লক্ষ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেছিলেন। তবে এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও সাফল্যের একই ধারা অব্যাহত রাখতে চান বলে জানান দেবদত্তা৷ কয়েকদিন পরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা । তাই যথারীতি নিয়ম করে ১০ – ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করছেন । একঘেয়েমি কাটাতে কখনো বেহালা বাজাচ্ছেন বা ক্রিকেট ম্যাচ দেখছেন বলে জানিয়েছেন কাটোয়ার এই মেধাবী ছাত্রীটি ।
কাটোয়ার বিদ্যাসাগর পল্লীর বাসিন্দা জয়ন্ত মাজি ও সেলী মাজির একমাত্র সন্তান দেবদত্তা । জয়ন্তবাবু সরকারি কর্মচারী,আর সেলীদেবী কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা। মাধ্যমিক থেকে ওই স্কুলেরই ছাত্রী দেবদত্তা । উচ্চ মাধ্যমিকও একই স্কুল থেকেই দেবেন । সেলীদেবী বলেন, ‘মেয়ে আমাদের গর্ব ৷’।