এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৯ মে : কাশ্মীরের পহেলগামে পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হাতে ২৬ জন হিন্দু পর্যটকের নরসংহারের প্রতিশোধ নিতে “অপারেশন সিঁদূর” শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৷ অথচ এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও ভারতীয় মুসলিমদের একাংশের মন থেকে ‘পাকিস্তান প্রেম’ কিছুতেই যাচ্ছে না । তাদের মধ্যেই অন্যতম হল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার দাঁইহাট শহরের পাইকপাড়ার বাসিন্দা সরিফ শেখ নামে এক যুবক । পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক সরিফ শেখ বর্তমানে মুম্বাইয়ে রয়েছে। সেখান থেকেই সে পাকিস্তানের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । মানুষের মধ্যে গনরোষ দেখে নড়েচড়ে বসে পুলিশ । অবশেষে খবর পেয়ে মুম্বই পুলিশ তাকে আটক করেছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে কাটোয়া থানার পুলিশের একটি বাহিনী মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে । পুলিশ সরিফ শেখের বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহিতা, সামাজিক মাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা প্রভৃতি ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে,বৃহস্পতিবার দাঁইহাটের কয়েকজন যুবকের নজরে পড়ে সরিফ শেখ তার ফেসবুক প্রোফাইলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, প্যালেস্টাইন সহ একাধিক ইসলামিক দেশের জাতীয় পতাকা পোস্ট করেছে । শুধু তাইই নয়,সে লিখেছে : ‘ইনসাল্লাহ,লাভ ইউ অল। পাকিস্তান জিন্দাবাদ’৷ এই পোস্ট দেখার পর স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেশ কিছু যুবক কাটোয়া থানার অন্তর্গত দাঁইহাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে জড়ো হয়ে সরিফ শেখকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । শেষে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন এবং “ভারত মাতা কি জয়” শ্লোগান দিতে দিতে ফিরে যান ।
জানা গেছে, দাঁইহাট পাইকপাড়ার বাসিন্দা সরিফ শেখ বাবা মায়ের এক ছেলে । আগে সে কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। নয় মাস আগে পশ্চিম মুম্বাইয়ে একটি রেডিমেড পোশাকের দোকান খুলেছে । সেখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ডেরায় থাকে সে । বিক্ষোভের পর দাঁইহাট ফাঁড়ির পুলিশ সরিফ শেখের বাড়িতে গিয়ে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেয় । এরপর মহারাষ্ট্রের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে আটক করার জন্য অনুরোধ করে দাঁইহাট ফাঁড়ির পুলিশ । খবর পেয়ে পশ্চিম মুম্বাইয়ের সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সরিফকে তার ডের থেকে তুলে নিয়ে যায় । এদিকে বেগতিক বুঝে সে ওই উসকানিমূলক পোস্ট মুছে দেয় । কিন্তু তার আগেই পোস্টটি দাঁইহাটের একটা ফেসবুক পেজে ভাইরাল হয়ে যায় ।।

