এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৬ এপ্রিল : বাড়ির অমতে প্রেম বিবাহের ৩ বছরের মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে উদ্ধার হল বধূর মৃতদেহ । পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার মুস্তাপুর গ্রামের ঘটনা । মৃতার নাম আজ রিয়া পণ্ডিত (২০)। আজ রবিবার সকালে মুস্তাপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে বধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে । এই ঘটনায় মৃতার বাবা কাটোয়ার মূলগ্রামের বাসিন্দা পেশায় জনমজুর ভণ্ডুল পণ্ডিত মেয়ের স্বামী অর্জুন পণ্ডিত,মা কল্পনা এবং বাবা কানুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ একটা এফআইআর রজু করেছেন কাটোয়া থানায় । তার অভিযোগ, রিয়াকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতদের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে,রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ৷ এদিকে মৃতা স্বামী অর্জুন ও তাঁর মা পালিয়েছে । পুলিশ তাদের খুঁজছে ।
জানা গেছে,মুস্তাপুর গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন পণ্ডিত ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করত। পরে বাড়িতে ফিরে মাছ বিক্রি করতে শুরু করে । তার সঙ্গে রিয়ার ফোনে পরিচয় হয়। ক্রমে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । পরে বাবা মায়ের কাছে অর্জুনকে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা জানান রিয়া৷ কিন্তু তার বাবা মায রাজি হননি । এরপর বাড়ি থেকে পালিয়ে অর্জুনকে বিয়ে করেছিলেন রিয়া । একারণে বাপের বাড়ির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় । যদিও বছর খানেক আগে এই বিয়ে মেনে নেন ভণ্ডুলবাবুরা৷
ভণ্ডুলবাবুর অভিযোগ,’মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতেই জামাই ও তার বাড়ির লোকজন আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে আনার জন্য চাপ দিতে থাকে । কিন্তু আগের দুই মেয়ের বিয়ে দিয়ে আমি নিঃশ্ব হয়ে গেছি । তাই টাকা দিতে পারিনি । একারণে রিয়ার উপর তারা অত্যাচার করত ।’ তিনি বলেন,’শনিবার সন্ধ্যায় মুস্তাপুর গ্রাম থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয় রিয়া অসুস্থ। রাতেই আমরা মূলগ্রামে ছুটে আসি৷ দেখি বাড়ির বারান্দায় রিয়ার দেহ শোয়ানো রয়েছে । ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলছে একটি সাদা ওড়না । যদিও তখন আমরা অর্জুন ও তাঁর মাকে দেখতে পাইনি ।’ তার অভিযোগ যে মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে । যদিও মৃতার শ্বশুরের দাবি,গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তার পুত্রবধূ । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।