দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১০ অক্টোবর : স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে বৈধ অনুমতি ছাড়াই তৈরি করা বাড়ির মালিকদের নোটিশ পাঠাতে শুরু করল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া-১ ব্লক প্রশাসন । আজ মঙ্গলবার কোশিগ্রামের এমনই চার ব্যক্তিকে অফিসে ডেকে আধিকারিকরা জমির দলিল পর্চা,বিল্ডিংয়ের প্ল্যান অনুমতিপত্র, কনভারশনের প্রমান সহ বিভিন্ন নথিপত্র দেখতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে । এদিকে প্রশাসনের এই উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় মহলে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে । স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোশিগ্রামের ফুলবাগানের জনৈক এক ব্যক্তি পুকুর বুজিয়ে তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করছেন । তাদের অভিযোগ,প্রথমত পুকুর বুজিয়ে বাড়ি নির্মান করা আইনত অপরাধ । আর দ্বিতীয়ত, বাড়ি নির্মানের জন্য ওই ব্যক্তি স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছ থেকে কোনো অনুমতিই নেননি,শুধুমাত্র শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ বলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ।
যদিও ‘বিষয়টি জানা নেই’ বলে দায় এড়িয়ে গেছেন কোশিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঋজু সাহা ।
প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েত বা পুরসভা এলাকায় বাড়ি নির্মানের আগে কিছু সরকারি নিয়ম মেনে চলতে হয় সকলকে । প্রথম,যে জায়গায় বাড়ি নির্মিত হবে সেটি “শালি জমি” হিসাবে রেকর্ড থাকলে “বাস্তু জমি”তে (কনভারশন) করতে হয় । জায়গার স্টেচ ম্যাপ, বাড়ির প্লান এস্টিমেট করে পঞ্চায়েত বা পুরসভায় বাড়ি নির্মানের জন্য আবেদন জমা দেওয়া নিয়ম । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ওই সমস্ত সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করে দেন কেউ কেউ । এমনকি আইনত অপরাধ হলেও দেদার পুকুর বোজানো বা পুকুর বুজিয়ে বাড়ি নির্মানের নজিরও কম নেই ৷
কাটোয়া-১ ব্লকের কোশিগ্রামেই রয়েছে এমনই নজিত । কোশিগ্রামের পালিটা রোডের ঠিক পাশেই এক ব্যক্তি পুকুর বুজিয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজ চালিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন বা পঞ্চায়েতের তরফে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । অভিযোগ শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই তাকে আড়াল করা হচ্ছে । তবে শুধু কোশিগ্রামই নয়, পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের ভাতার বাসস্ট্যান্ড এলাকার জনৈক এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুকুর বোজানোর অভিযোগ উঠেছিল বহু দিন আগেই ।।