এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,১২ আগস্ট : “ভোট চুরি” র মিথ্যা অভিযোগ তুলে নয়াদিল্লিতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ইন্ডি জোট শরিকদের নিয়ে রীতিমতো উৎপাত শুরু করে দিয়েছেন । নির্বাচন কমিশন রাহুলের কাছে ভুয়া ভোটারের তালিকা পাঠানোর জন্য দু’বার নোটিশ করেছে । কিন্তু রাহুল গান্ধী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি নির্বাচন কমিশনকে কোনও নথি দেবেন না এবং কোনও হলফনামায় স্বাক্ষরও করবেন না। ফলে এটা স্পষ্ট যে রাহুল গান্ধীদের এই নাটকের উদ্দেশ্য আদপে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের বাঁচানো । আর সেই উদ্দেশ্যে তিনি “ভোট চুরি” র নাটক করছেন বলে অভিযোগ ।
এদিকে রাহুল গান্ধীর এই নাটকের প্রতিবাদ করে বহিষ্কৃত হতে হয়েছে কর্ণাটকের তফসিলি উপজাতি মন্ত্রী কেএন রাজন্নাকে (KN Rajanna)৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শোভা করন্দলাজে “এই খবর জানিয়ে এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন,সত্য কথা বলার জন্য একজন তফসিলি উপজাতি মন্ত্রীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। কংগ্রেস সত্যকে ভয় পায় এবং ভোট চোরির মিথ্যা অভিযোগের আড়ালে লুকিয়ে থাকে। রাহুল গান্ধীর ভিত্তিহীন ভোট চুরির দাবি নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য মন্ত্রী কেএন রাজন্নাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীকে রাজন্না ঠিকই জিজ্ঞাসা করেছেন, “যদি অনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের নিজস্ব সরকারের আমলেই হয়েছে। তখন নীরবতা কেন ছিল?”
এদিকে কেএন রাজন্নাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার পর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে তাঁর বরখাস্তের পিছনে একটি বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। ভোট কারচুপির ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রচারণার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া কেএন রাজন্নাকে বরখাস্ত এবং মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বরখাস্তের পর প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন রাজন্না প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, “আমি একজন প্রাক্তন মন্ত্রী হিসেবে আপনার সামনে বলছি। কিন্তু আমার বরখাস্তের পিছনে একটি বিশাল ষড়যন্ত্র রয়েছে। আমরা জানি এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কারা রয়েছে এবং তারা কী করেছে। আমার কাছে থাকা এই ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত তথ্য আমি আগামী দিনে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। রাজ্যপালের কার্যালয় থেকে খসড়াটি বাতিল করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এটি হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত। দলের গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।”
তিনি আরও বলেন,’আমি প্রাক্তন মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত হতে পেরে খুশি। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। এই উপলক্ষে, আমি সমস্ত মন্ত্রীদের সাথে মুখ্যমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানাই ।’
কেএন রাজন্না বলেন, “আমার বক্তব্য রাহুল গান্ধীর সাথে আমার সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেছে। আমি ভুল বোঝাবুঝি দূর করার চেষ্টা করব। আমি ব্যক্তিগতভাবে দিল্লিতে যাব এবং রাহুল গান্ধীকে বোঝানোর চেষ্টা করব। আমি এখন যাই বলি না কেন, ভুল বার্তা দেওয়া উচিত নয়। আমরা দলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাহুল গান্ধী আমাদের নেতা।”
উল্লেখ্য, কেএন রাজন্না কর্ণাটক সরকারের সমবায়মন্ত্রী ছিলেন। ভোটার তালিকায় অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, “কর্ণাটকে দল (কংগ্রেস) ক্ষমতায় থাকাকালীন ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তখন তারা কেন চোখ বন্ধ করে রেখেছিল? যদি আমাদের চোখের সামনে অনিয়ম ঘটে এবং আমরা তখন আপত্তি না জানাই, তাহলে আজ অভিযোগ করার যুক্তি কী?”