এইদিন ওয়েবডেস্ক,আজমির,২০ অক্টোবর : জেলের অন্ধকার কক্ষে থেকে জিহাদের ভুত নেমে গেছে কানহাইয়া লালের শিরশ্ছেদকারী রিয়াজ ও গৌস মোহাম্মদের । নূপুর শর্মাকে সমর্থন করার অপরাধে পেশায় দর্জি কানহাইয়া লালকে নৃশংসভাবে শিরচ্ছেদ করে খুন করেছিল ওই দুই জিহাদি । তাদের রাখা হয়েছে রাজস্থানের আজমিরের একটি কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে । ‘দৈনিক ভাস্কর’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী রিয়াজ ও গাউস মোহাম্মদসহ কানহাইয়া লাল হত্যা মামলার ৯ আসামির মধ্যে ৭ আসামির পরিবারের লোকজন দেখা করতে আসে । কিন্তু অনুমতি থাকলেও দুই খুনি রিয়াজ ও গাউসের সঙ্গে দেখা করতে কেউ আসে না । ওই দুই খুনিকে শৌচকর্ম সারার জন্য দিনে মাত্র এক ঘন্টার সময় দেওয়া হয় । ওই সময় বাদে দিনের বাকি সময় জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে থাকতে থাকতে জিহাদের কথা ভুলে তারা এখন কারাগারে অঝোরে কেঁদে চলেছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে ।
জেল সুপার প্যারিস জাঙ্গিদানে বলেছেন,’খুনের আসামিদের পড়ার জন্য বই দেওয়া হচ্ছে । রিয়াজ যেহেতু নিরক্ষর তাই অন্য বন্দীরা তাকে বই পড়ায় ।’ তিনি আরও বলেছেন,’কানহাইয়া লাল হত্যার ৭ অভিযুক্ত তাদের কর্মের জন্য দুঃখ ও অনুশোচনা প্রকাশ করেছে। যদিও রিয়াজ ও মোহাম্মদের শারীরিক ভাষায় কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং তাদের কৃতকর্মের জন্য কোনো অনুশোচনাও নেই ।’ তবে বাকিদের মধ্যেও অনুশোচনা আছে কি না, তানিয়ে সন্দেহ আছে । অনেকের অনুমান আসামিদের অপরাধ লঘু করে দেখানোর উদ্দেশ্যে ইমোশনাল কার্ড খেলছে রাজস্থান পুলিশ ও এক শ্রেণীর মিডিয়া ।
প্রসঙ্গত, রিয়াজ ও গাউস মোহাম্মদ কানহাইয়া লালের দোকানে খরিদ্দার সেজে গিয়েছিল । কানহাইয়া যখন একজনের জামার মাপ নিচ্ছিলেন সেই সময় অন্যজন ভিডিও করছিল । এদিকে মাপ দেওয়ার মাঝেই অন্য জিহাদি কানহাইয়ালালের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে দেয় । সে কানহাইয়ালালকে শিরচ্ছেদ করে । এর বাইরেও ওই জিহাদি কানাইয়াকে ৩০ বার কুপিয়েছিল । কাহাইয়া লালকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর রিয়াজ এবং গাউস তাদের রক্তমাখা অস্ত্র নিয়ে ভয়ঙ্কর এক ভিডিও তৈরি করেছিল । তারা ইসলামিক স্লোগান দিয়ে বলে,’গুস্তাখ-ই-নবী কি একহি সাজা সর তান সে জুদা ।’ কানাইয়ালালের অপরাধ ছিল তিনি নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন ।।