এইদিন ওয়েবডেস্ক,নাটোর,২৯ মার্চ : পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে মারলো বাংলাদেশের নাটোরের বাগাতিপাড়া মডেল থানার অন্তর্গত শলইপাড়ার বাসিন্দা কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি । নিহত বধূর নাম রিপা খাতুন । তিনি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন । স্বামীর পরকীয়ায় প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দম্পতির মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা হয় । তারই মাঝে কবির হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন মিলে রিপা খাতুনকে ব্যাপক মারধর করে । তার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বধূর । এদিকে ঘটনার পর থেকেই চম্পট দিয়েছে কবির হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন । বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়েছেন কবির হোসেন নামে এক ব্যক্তি । রাতেই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । আজ বুধবার সকালে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । তবে ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি । অভিযোগ দায়ের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে,রাজশাহীর বাঘা উপজেলার উত্তর মিল্লিক বাঘা এলাকার বাসিন্দা আনসার ফকিরের মেয়ে রিপা খাতুন । বছর ১১ আগে কবির হোসেনের সঙ্গে তার দেখাশোনা করে বিয়ে হয় । তাদের দুই নাবালক সন্তান রয়েছে । এছাড়া মাস ছয়েকের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন রিপা । নিহতের দাদা মুশিকুল ইসলাম জানান,সম্প্রতি শলইপাড়ার এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল কবির । এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত । মঙ্গলবার বিকেলেও ফের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা বাধে । সন্ধ্যার দিকে তা চরম আকার ধারন করে । সেই ঝামেলার মাঝেই রিপাকে ব্যাপক মারধর শুরু করে দেয় কবির । কবিরের পক্ষ নিয়ে তার বাড়ির লোকজনও রিপাকে ব্যাপক মারধর করে । অতজন মানুষের অমানবিকভাবে মারধর সহ্য করতে না পেরে শ্বশুরবাড়িতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তার বোন রিপা খাতুন ।
জানা গেছে,স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার পর শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে হাসপাতালে আসার জন্য বলে কবির হোসেন । এরপর মঙ্গলবার রাত্রি সাড়ে ৮ টা নাগাদ হাসপাতালে গিয়ে রিপাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান তার বাপের বাড়ির লোকজন । তবে তার আগেই চম্পট দেয় খুনী স্বামী কবির হোসেন । বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় কবিরের পরিবারের বাকি লোকজনও ।।