এইদিন ওয়েবডেস্ক,আগ্রা(উত্তরপ্রদেশ),১২ সেপ্টেম্বর : উত্তরপ্রদেশের আগ্রার এসএন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়া ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীকে একজন জুনিয়র ডাক্তারের দ্বারা যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে । অভিযুক্ত চিকিৎসক দিলশাদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । মেডিকেল কলেজ তাকে সাময়িক বরখাস্তও করেছে । ডাঃ দিলশাদ হুসেনের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে চিকিৎসার বাহানায় নিজের চেম্বারে নিয়ে নোংরা কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, তিনি মেয়েটির কাপড়ের ভিতর হাত ঢুকিয়ে তার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেন এবং অশ্লীল কাজ করেন। মেয়েটি চিৎকার করে চেম্বার থেকে পালিয়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে বাইরে।এরপরই প্রকাশ্যে আসে পুরো ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে ১০ সেপ্টেম্বর রাতে পরিবারের সদস্যদের হট্টগোলের পর ডাঃ দিলশাদ হুসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ প্রশান্ত গুপ্ত এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, এমএম গেট থানায় মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত চিকিৎসক বেরেলির বাসিন্দা এবং পিজি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আগ্রার শাহগঞ্জ এলাকার নির্যাতিতা কিশোরী শিশুরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল । গত ৬ সেপ্টেম্বর তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি হলে গত ৯ সেপ্টেম্বর তাকে শিশু বিভাগের জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয় । ডাঃ দিলশাদ হুসেন মেয়েটিকে ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে চেকআপের অজুহাতে নিজের চেম্বারে নিয়ে গিয়ে তার যৌন শোষণ করে ।প্রাথমিকভাবে বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবারকে প্রলোভন দেওয়া হয়। হট্টগোলের পর পুলিশ আসার আগেই অভিযুক্ত চিকিৎসক ওয়ার্ড ছেড়ে পালিয়ে যায় । হিন্দু সংগঠনের লোকজন নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ালে মামলা দায়ের করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জুনিয়র ডাক্তার দিলশাদ হুসেনের বিরুদ্ধে অসদাচরণ এবং পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার চিকিৎসা শেষে আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করতে নিয়ে যায় পুলিশ।।