এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,২৫ মে : জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারে সাংবাদিকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে । শুধু বালি মাফিয়ারাই নয়, উত্তরবঙ্গের সাংবাদিকদের উপর খোদ পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি আক্রান্ত সাংবাদিকদের একটা ভিডিও পোস্ট করে এক্স-এ লিখেছেন,’দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতা ছাড়িয়ে এবার উত্তরবঙ্গে আক্রান্ত গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম। গতকাল উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের মালবাজার থানার পোষ্ট অফিস মোড় সংলগ্ন এলাকায় বালি বোঝাই ওভারলোডিং ডাম্পার আটকে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ দেখান। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন মালবাজার থানার পুলিশ বাহিনী। সেই ঘটনার ছবি ভিডিও করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন উত্তরবঙ্গের সাংবাদিকরা।
বালি চোরের সরকারের বিরুদ্ধে কোন খবর করা যাবে না। আমি খবর পেয়েছি মোট ছ’জন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন।নিতেশ উপাধ্যায়, সন্তু চৌধুরী, সুশান্ত ঘোষ, অভিষেক ঘোষ, সম্পা ভট্টাচার্য এবং অনিল ছেত্রী। আমি সকলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’ তিনি আরও লিখেছেন,’পশ্চিমবঙ্গের সকল সচেতন নাগরিকদের কাছে অনুরোধ, এই চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত, তোষণবাজ সরকারকে বিদায় দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে নইলে আগামীদিন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে।’
জানা গেছে,ঘটনার সূত্রপাত সন্ধ্যায় রাতে । মালবাজার শহরে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে হঠাৎই প্রায় শ-তিনেক বালিবোঝাই ডাম্পার যাতায়াত করতে চরম বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েক জায়গায় ডাম্পারগুলিকে আটকে দেওয়া হয় । ঘটনাস্থলে যায় মালবাজার থানার পুলিশ । এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা । সেই সময় কুখ্যাত বালি মাফিয়ার নেতৃত্বে হঠাৎ সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানো হয় । ব্যাপক মারধর করা হয় সাংবাদিকদের । উত্তরবঙ্গ সংবাদ জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষের মুখে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পত্রিকার আরেক প্রতিনিধি অভিষেক ঘোষকে বালি মাফিয়ারা ব্যাপকভাবে হুমকি দেয়। সেই সময় পুলিশকে কাছেপিঠে দেখা যায়নি। যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে চায়নি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সমীর আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কী কারণে এই সমস্যা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ যদি একসঙ্গে কেন তিন শতাধিক ডাম্পার রাস্তায় নেমেছিল তা জানেনা বলে উত্তরবঙ্গ সংবাদকে জানিয়েছেন মাল থানার আইসি সৌম্যজিৎ মল্লিক ।।

