এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৭ সেপ্টেম্বর : দিল্লিতে এলএনডিওর (ভূমি ও উন্নয়ন অফিস) বিশাল পরিমান জমি জবরদখল করে নির্মিত হয়েছে একটি মাদ্রাসা । আর সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ‘হেডলাইন্স ইন্ডিয়া’ নামে একটি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান । মাদ্রাসার মালিক তৌফিল এতটাই বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল যে ক্যামেরা চালু অবস্থায় সে ও তার এক সঙ্গী মিলে সাংবাদিক বিনোদ শর্মা ও ক্যামেরাম্যান তুষার শর্মাকে ঘরে আটকে রেখে হেনস্থা করে । তারপর ক্যামেরা অফ করিয়ে দুই সাংবাদিককে ব্যাপক মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ । যদিও কোনো রকমে তাঁরা প্রাণ বাঁচিয়ে মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে আসতে সক্ষম হন ।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার রাজ্যের সমস্ত মাদ্রাসাগুলির খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন । কতগুলি বৈধ এবং কতগুলি অবৈধ মাদ্রাসা রয়েছে, পাশাপাশি বৈধ মাদ্রাসার শিক্ষার মান কেমন মূলত এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট পেশের শেষ তারিখ । এছাড়া সম্প্রতি আসামের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার রাজ্যের তিনটি মাদ্রাসা ভেঙে দিয়েছে। এসব মাদ্রাসায় সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো । এসব মাদ্রাসার সাথে জড়িত অনেক আলেমকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। গোয়ালপাড়ার চতুর্থ মাদ্রাসাটি এলাকার মানুষ নিজেরাই ধ্বংস করে দিয়েছে ।
অবৈধ মাদ্রাসা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ ও আসাম সরকারের এই সমস্ত পদক্ষেপ দেখে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্যপ্রমাণসহ দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার ‘মাদ্রাসা জামিয়া আরাবিয়া’ নামে ওই মাদ্রাসার সত্য তুলে ধরার উদ্দেশ্যে খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন ‘হেডলাইন্স ইন্ডিয়া’র সাংবাদিক বিনোদ শর্মা । সঙ্গে ছিলেন ক্যামেরাম্যান তুষার শর্মা । বিনোদ শর্মা বলেন,’ক্যামেরা বন্ধ করিয়ে মাদ্রাসার মালিক তৌফিল ও তার লোকজন যেভাবে আমাদের মারধর করছিল তাতে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম । ভেবেছিলাম হয়তো আমাদের প্রাণে মেরে দেবে ওরা ।’।