এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,৩০ আগস্ট : গ্রেফতারি এড়াতেই বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সোমবার সকালের দিকে কলকাতায় গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করেন তন্ময়বাবু । আর এদিন সন্ধ্যা নাগাদ বিষ্ণুপুর কলেজ রোড সংলগ্ন বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে এসে এনিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে করেন শুভেন্দু অধিকারী ।
তন্ময় ঘোষের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে পিসি-ভাইপো কোম্পানি গ্রেফতার করেছে । পুলিশ হেফাজত হয়েছে । পুলিশ ওনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । এখন উনি জেল হেফাজতে আছেন । তাঁর বিরুদ্ধে মূলত পুরসভায় দূর্নীতির অভিযোগ । আর এই পুরসভাতে বর্তমান বিধায়কও কাউন্সিলার হিসাবে ছিলেন । প্রশাসকও ছিলেন । এছাড়া পুরসভাতে ঠিকাদারিও করতেন । উনি জন্মাষ্ঠমীর দিন তড়িঘড়ি যোগদান করলেন তার কারন,পিসির পুলিশ তাঁকে বলেছে এবারে তোমাকেও যেতে হবে । ওই কারনে উনি উনি তড়িঘড়ি ক্যামাক স্ট্রীটে ভাইপোর প্রাসাদে তথা কর্পোরেট অফিসে গিয়ে রাজ্যের অপদার্থ শিক্ষামন্ত্রীর হাত থেকে পতাকা তুলে নিয়েছেন ।’ ‘
এরপর তিনি শাসকদলকে নিশানা করে বলেন, ‘তৃণমূল এই ধরনের অনৈতিক কাজ আজকে নয়, অনেক দিন ধরেই করে আসছে । ওই পার্টির ভিতরে আমি ছিলাম,জানি । তার যিনি নেত্রী আছেন,কোম্পানীর যিনি মালকিন, ৫০ জনের বেশি বিধায়ককে দল বদল করিয়েছেন । আর সেই দলের পরিচালিত সরকার, বিধানসভা দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ পর্যন্ত করেনি ।’ তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে আমি আগামী কাল তন্ময় ঘোষকে চিঠি দেবো । তার রাজনৈতিক অবস্থান লিখিতভাবে স্পষ্ট করার জন্য । আমি জানি উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা ওনার নেই । কারন তিনি অপেক্ষা করছিলেন মুকুল রায়ের দলত্যাগ বিরোধী ও পিএসসির চেয়ারম্যান নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে যে অভিযোগ হয়েছে ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে যে জনস্বার্থ মামলাটি চলছে তার গতি প্রকৃতি দেখে হয়তো আরও কিছুদিন পরে সিদ্ধান্ত নিতেন ।’
শুভেন্দু বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় থেকেই ওনার আচার আচরন সন্দেহজনক ছিল । গত চার মাস পার্টির সঙ্গে তাঁর কোনও সংযোগ ছিল না । বিধানসভার পরিষদীয় কক্ষে কখনও সখনও ঢুকতেন । আবার তৎক্ষনাৎ পালিয়েও যেতেন । বিগত চার মাস ধরে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়ে গেছেন অথচ বিধায়ক হয়ে তাঁদের কোনও খোঁজ নেননি তিনি । তবুও আমরা মনে করি, মাননীয় তন্ময়বাবুর মত পরিবর্তনের অধিকার আছে । কিন্তু সেটা বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে করলেই ভালো হত । তাহলে আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করতাম না ।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদগ্র রাজনৈতিক ক্ষুধা, তিনি পাঠাগারের কমিটিও চান । পাড়ার ছোট ক্লাবও চান । তিনি একাই পশ্চিমবঙ্গে থাকবেন, আর কেউ থাকবে না । এটা পিসি-ভাইপোর কোম্পানীর এজেন্ডা ।’ পাশাপাশি এদিন তৃণমূলকে অনৈতিক দল,ছোট তালিবান বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু ।।