এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০২ ডিসেম্বর : ফের বিতর্কে জড়ালো দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) । এবারে ক্যাম্পাসের মধ্যে সাঁটানো হল লাল ও নীল কালিতে লেখে একাধিক বর্ণবিদ্বেষী পোস্টার । পোস্টারগুলি ছিল খুবই উসকানিমূলক ছিল । তাতে লেখা আছে, -‘ব্রাহ্মণ ক্যাম্পাস ছেড়ে দাও’, ‘আমরা তোমাদের জন্য আসছি’, ‘শাখায় ফিরে যাও’, ‘আমরা প্রতিশোধ নেব’, ‘খুনের ঘটনার পরিনতি খারাপ হবে’ প্রভৃতি । জেএনইউ টিচার্স ফোরাম কয়েকটি পোস্টার টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করে ঘটনার নিন্দা করে লিখেছে, ‘যখন বাম-উদারপন্থী দল প্রতিটি ভিন্নমতের কণ্ঠকে ভয় দেখায়, তখন তারা “পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সভ্যতার মূল্যবোধ এবং সবার সাথে সমান ও ন্যায়সঙ্গত আচরণ” লাভের আশায় ইসি প্রতিনিধিদের নির্বাচন করার জন্য আবেদন করে । ‘সভ্যতা’ এবং ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা’। ভাংচুরের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ !’
এদিকে বর্ণবিদ্বেষী পোস্টারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শান্তিশ্রী ডি পন্ডিত । তিনি অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন । তিনি স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ডিন এবং অভিযোগ কমিটিকে তদন্ত শেষ করতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে । জেএনইউ প্রশাসনও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। জেএনইউ প্রশাসন বলেছে, ‘ক্যাম্পাসে এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না ।’
আরএসএস-এর ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) জেএনইউ-এর সভাপতি রোহিত কুমার সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘কমিউনিস্টরা জেএনইউ-এর এসআইএস-২ বিল্ডিংয়ের দেওয়ালে এই সমস্ত কুকথা লিখেছে । এমনকি মুক্তচিন্তার অধ্যাপকদের উস্কে দিতে তারা তাদের চেম্বারের সামনেই উস্কানিমূলক স্লোগানও লিখেছে । আলোচনা, বিতর্কের জন্য একাডেমিক স্থান ব্যবহার করা উচিত। এতে কি ওরা সমাজ ও ছাত্র সমাজে বিষ ছড়াচ্ছে না ?’
এদিকে জেএনইউ টিচার্স ফোরামের টুইটার হ্যান্ডেলের কমেন্ট সেকশনে সনাতন ত্রিপাঠি নামে এক ইউজার্স লিখেছেন,’স্যার, সিসিটিভি দেখে যারা এই কাজ করেছে তাদের চিহ্নিত করুন । তাদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-এর অধীনে মামলা রজু করুন। স্যার, টুইটারে বলে কি হবে, এরা ফের একই কাজ করতে থাকবে। দুই-চারজন যদি ১০ বছর জেলে যায়, তাহলে তাদের মন ভালো হয়ে যাবে, উমর খালিদের মত টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং এর সদস্যদের কারাগারে স্লোগান দিতে দেখা যায় না ।’।