এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ ২৪ পরগনা,১৭ অক্টোবর : দুর্গাপূজায় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় পূজোমণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছিল । কলকাতার গার্ডেনরিচ এবং হাওড়ার শ্যামপুরে হামলার ঘটনায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । বুধবার লক্ষ্মীপূজোতে বাদ গেলোনা ‘জিহাদি’ হামলা । শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ বিধানসভার বাওয়ালি রথতলা পুজো কমিটির মা লক্ষ্মীর প্রতিমা জেহাদিদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে । অপবিত্র করা প্রতিমা নিয়ে পুলিশের সামনে হিন্দুদের বিক্ষোভের ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘লক্ষ্মী পুজোয় ডায়মন্ড হারবার মডেল:-কলকাতার গার্ডেনরিচ, হাওড়ার শ্যামপুরের পর এবার ডায়মন্ড হারবার, হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাসের উপর আঘাত এখনো অব্যাহত এই রাজ্যে।এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ বিধানসভার বাওয়ালি রথতলা পুজো কমিটির মা লক্ষ্মীর প্রতিমা জেহাদিদের দ্বারা আক্রান্ত হল। বাংলাদেশের মত একই পদ্ধতিতে এখন পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের ধর্মাচরণে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ নির্বিকার।কয়েকবছর আগে এই একই জায়গায় দুর্গাপুজোয় মা দুর্গার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় আজ পর্যন্ত প্রশাসন কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি, কেউ গ্রেফতার হয়নি। মমতা ব্যানার্জি সরকারের তোষণের রাজনীতির জন্য হিন্দুদের উপরে ক্রমাগত ঘটে চলা এই অন্যায় অত্যাচারের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। হিন্দুদের বলবো এবার জাগ্রত হন, নাহলে এরপর নিজের ঘরেও পুজো-আচ্চা করতে পারবেন না।’
শুভেন্দুর শেয়ার করা ভিডিওতে জনিত এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গেছে,’এই মুহূর্তে রথ তলা দূর্গা পূজা কমিটির পাশে আমাদের লক্ষ্মী প্রতিমার এই অবস্থা । ঘটনার পর এখানে মানুষ প্রতিবাদ করেছেন । ডি এস পি এসেছেন । এর আগেও দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে এমন নোংরা কাজ হয়েছিল । তার কোন বিচার পাইনি । ফের এবার এটা হল । এতকিছুর পরেও সবাই চুপ ।’
এর আগে মহাষ্টমীর দিন গার্ডেনরিচের একটি দুর্গাপূজা মন্ডপে হামলার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে । তারা ঢাক ও মাইক বাজানোকে অজুহাত করে পুজো বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছিল বলে অভিযোগ । এরপর গত রবিবার দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানা এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গাপূজা মন্ডপে হামলা হয় । ইসলামের নবীর ছবি আঁকার অপরাধে দূর্গা প্রথমে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং প্যান্ডেলে আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ । যদিও হাওড়ার ঘটনায় কয়েক ডজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে । কিন্তু বাংলাদেশের কট্ট্রপন্থী মুসলিমদের স্টাইলে পশ্চিমবঙ্গেও একই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় রাজ্যের হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে ।।