এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজস্থান,১২ এপ্রিল : রাজস্থানের কোটায় এক বিজেপি কর্মীকে ‘সর তান সে জুদা’র ধমকি দিয়েছে জিহাদিরা । কোটার উদ্যোগ নগর এলাকার বাসিন্দা মনোজ কুমার নামে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ির দরজায় ‘সর তান সে জুদা’র ধমকি দেওয়া হাতে লেখা চিঠি সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে । বর্তমানে রাজস্থানে শাসন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি । তাসত্ত্বেও মৌলবাদীদের দুঃসাহস দেখে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে,মনোজের দরজায় সাঁটানো হুমকি চিঠিতে লেখা হয়েছে,’আল্লাহর বাণী, একজন নবীর বিরুদ্ধে অপরাধের একটাই শাস্তি, সর তান সে জুদা, শরীর থেকে মাথা আলাদা। এখন তোমাদের রাম বা তোমার হিন্দু ধর্ম তোমাকে কিভাবে বাঁচায় দেখি । তুমি হিন্দুদের জন্য অনেক আওয়াজ তুলেছ, এখন তোমার কণ্ঠ বন্ধ হবে। এখন আমরা তোমাকে ছেড়ে যাবো না। আল্লাহর বান্দা, এখন তোমার মাথা তোমার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করবে । মনোজ.. এখন তোমার সময় এসেছে আর এখন তোমাকে আর তোমার পরিবারকে আমাদের হাত থেকে কে বাঁচাবে ? নবীর অবমাননার শাস্তি একটাই, সর তান সে জুদা, শরীর থেকে মাথা আলাদা। গুড বাই ।’
কিন্তু কেন জিহাদিদের তরফে ‘সর তান সে জুদা’র হুমকি দেওয়া হল ? এই প্রশ্নের উত্তরে মনোজ কুমার বলেছেন,’গত জানুয়ারী মাসে অযোদ্ধায় ভগবান শ্রীরামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে মন্দিরের সামনে কপিধ্বজ লাগানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন মুসলিমের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়েছিল । ওই মুসলিমরা মন্দিরের সামনে ছাগল বেঁধে রেখেছিল এবং তার প্রতিদান প্রতিবাদ করেছিলাম আমি । সেই সময় তাদের সঙ্গে হাতাহাতিও হয়। মুসলিমরা আমাকে হত্যা এবং বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় । তার ভিত্তিতে তিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন ।’ ‘সর তান সে জুদা’র ধমকির সঙ্গে ওই ঝামেলার কোন সম্পর্ক আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ । এদিকে ঘটনার পর থেকে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে মনোজের পরিবার । জিহাদিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি । এই ঘটনায় উদ্যোগ নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিজেপি কর্মী । উদ্যোগনগর থানার এসএইচও জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, নির্যাতিতা মনোজের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যারা এ কাজ করেছে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। তুমি আরো জানান যে বর্তমান মামলার সঙ্গে আগের মামলাটি সংযুক্ত করা হয়েছে ।।