এইদিন ওয়েবডেস্ক,নীলফামারী,০৬ এপ্রিল : মাদ্রাসি শিক্ষার আড়ালে বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের শিশু ও কিশোরের মধ্যে কিভাবে জিহাদি মানসিকতা গড়ে তোলা হচ্ছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল ২০২৩) । এবার কোনো কট্টরপন্থী মুসলিম নয়,বরঞ্চ মাদ্রাসার এক পড়ুয়া ভাঙচুর চালালো স্থানীয় কালী মন্দিরের দেবী প্রতিমায় । নীলফামারী (Nilphamari) জেলার জলঢাকা(Jaldhaka) উপজেলার কাঁঠালি (Kanthali) ইউনিয়নের একটি কালী মন্দিরে ঢুকে দেবী প্রতিমাকে ফেলে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় মহম্মদ পারভেজ ইসলাম (Mohammad Parvez Islam) নামে বছর দশেকের ওই জিহাদি কিশোর । যদিও স্থানীয় হিন্দুরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে । পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
জলঢাকা উপজেলার কাঁঠালি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে মা কালী মন্দিরটি । পাশের মীরগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা পারভেজ ইসলাম মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়দের নজর এড়িয়ে মন্দিরে ঢুকে পড়ে । তারপর দেবীর মূর্তিটি মাটিতে ফেলে লাথি-ঘুঁষি মেরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় । সেই সময়ে দেবীকে প্রনাম করতে মন্দিরে আসা স্থানীয় এক শ্রদ্ধালুর নজরে পড়ে যায় বিষয়টি । তিনি চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি করেন । পরে আরও লোকজন ছুটে এসে জিহাদি কিশোরকে আটকে স্থানীয় থানায় খবর দেয় । এরপর পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায় ।
এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । যদিও মানবিকতার খাতিরে তারা ওই কিশোরকে কোনো প্রকার মারধর করেননি । কিন্তু তারা বাংলাদেশের মাদ্রাসি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে । অভিযোগ উঠছে, বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলিতে ধর্ম শিক্ষার আড়ালে শিশুদের মধ্যে পরধর্ম অসিষ্ণুতা ও জিহাদি মানসিকতা গড়ে তোলা হচ্ছে । জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে দুই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে বাংলাদেশের বহু মাদ্রাসা শিক্ষকের যোগসূত্র ইতিমধ্যে সামনে এসেছে ।।