এইদিন ওয়েবডেস্ক,চাঁদপুর(বাংলাদেশ),০১ এপ্রিল : বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলায় মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীরের পিলার ভেঙ্গে দিল জিহাদি বাবা ও মেয়ে । চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামে রয়েছে অর্ধ শতাব্দী প্রাচীন ওই মহাশ্মশানটি । শবযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সম্প্রতি শ্মশানের সীমানা ঘেরের কাজ শুরু করা হয় । প্রাথমিক পর্বে সিমেন্টের পিলার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল । কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল্লাহ মোল্লা ও তার মেয়ে নার্গিস বেগম মিলে গত ২৯ মার্চ রাতের অন্ধকারে ওই পিলার ভেঙে দিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ । পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে রাজমিস্ত্রি কাজ করতে গেলে সীমানা প্রাচীরের পিলার ভাঙ্গা অবস্থা দেখতে পায় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে । কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন,’বিতারা গ্রামের সার্বজনীন মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীরের পিলার ভেঙ্গে ফেলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল । এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।’ যদিও এদিন শনিবার পর্যন্ত অভিযুক্ত বাবা ও মেয়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে খবর ।
জানা গেছে,বুধবার সকালে সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ শুরু হলে স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল্লাহ মোল্লা ও তার মেয়ে নার্গিস বেগম বাধা দেয় এবং হুমকি দেখায় । নির্মান সামগ্রী আনার সময় গাড়ি আটকে দেয় আলী আরশাদ নামে আর এক জিহাদি । পরে স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য ইউনুস মিয়ার মধ্যস্ততায় ফের নির্মানের কাজ শুরু হয় । কিন্তু ওইদিন রাতের অন্ধকারে সদ্য নির্মিত পিলার ভেঙে দিয়ে পালিয়ে যায় শহিদুল্লাহ মোল্লা ও তার মেয়ে নার্গিস বেগম । পরের দিন সকালে বিষয়টি নজরে পড়লে এনিয়ে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্মশান কমিটির সহ সভাপতি রনজিত পাল, হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবুলাল সরকার ও স্থানীয় পিজুষ দে প্রমুখ ।
জানা যায়,প্রায় ৫০ বছর আগে শ্মশানের জন্য নিজের পৈতৃক জমি একটি কমিটির নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন ধর্মদাস পাল নামে এক গ্রামবাসী । ওই জায়গাটির কিছুটা পাশেই বাড়ি শহিদুল্লাহ মোল্লার । জায়গাটির উপর তার লোভ ছিল । কিন্তু ধর্মদাসবাবু তাকে জায়গাটি না দিয়ে শ্মশান নির্মানের জন্য দেওয়ায় শহিদুল্লাহদের যত রোষ গিয়ে পড়ে শ্মশান কমিটির উপর । তার জেরেই শহিদুল্লাহরা মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ ।।