এইদিন ওয়েবডেস্ক,তমলুক(পূর্ব মেদিনীপুর),২৩ ডিসেম্বর : আগে ছিল দুয়ারের সরকার,আর এখন হয়েছে দুয়ারে জঙ্গি । তাই ঠিক যে কায়দায় দিল্লী পুলিশ ‘রোহিঙ্গা খেদাচ্ছে’, একই কায়দায় পশ্চিমবঙ্গতেও রোহিঙ্গাদের খেদানো খুব জরুরী বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । পাশাপাশি ফের একবার তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গি সরকারের মুখ হচ্ছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খানরা । আর মুখোশ হচ্ছে মমতা ব্যানার্জি ।
আজ সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি রাজ্য একের পর এক কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী গ্রেফতার হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন, ‘আমাদের সাথে তো দু চারজন করে নিরাপত্তারক্ষী আছে । ওদের এমপি-এমএলএদের সাথেও থাকে । কিন্তু সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে ? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে ? খুব আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে । কেউ যদি ভাবেন জঙ্গি ধরা পড়েছে মুর্শিদাবাদে, পূর্ব মেদিনীপুরের কি ? জঙ্গি ধরা পড়েছে ক্যানিংয়ে, নদীয়ার কি ? তাহলে ভুল করবেন । বাড়ির দুয়ারে জঙ্গি এসে গেছে । এর আগে আমরা জোয়ারের সরকার শুনেছিলাম, এখন দেখছি দুয়ারে জঙ্গি ।’
শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন,’পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করে ইসলামিক স্থান করার পরিকল্পনা এদের ধরা পড়া জঙ্গিদের ।’
আজ ফের পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে জঙ্গিদের সরকার বলে কটাক্ষ করেছিল শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যে সরকার আছে, এটা জঙ্গিদের সরকার । এর মুখ হচ্ছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খানরা । আর মুখোশ হচ্ছে মমতা ব্যানার্জি । নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির প্রতিনিধি হাসান ইমরানকে যারা রাজ্যসভায় পাঠায় তাদের সরকারকে আপনি কি বলবেন ? এটাতো প্রমাণিত সত্য ।’তিনি বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গির ভোটার লিস্টে নাম উঠছে এবং ভোট দিচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গের সচেতন জনগণকে বলবো, যারা ভারতপ্রেমী রাষ্ট্রবাদী জনগন, তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলার এই জঙ্গি সরকারকে উৎখাত করতে হবে নিজেদের, পরিবারের এবং বাংলার সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে । নইলে আগামী দিনে বাংলায় কোন নারী, কোন শিশু সুরক্ষিত নয় । তাই দিল্লির এলজি দিল্লি পুলিশকে দিয়ে যেভাবে রোহিঙ্গাদের খেদিয়েছেন বাংলায় খুব প্রয়োজন৷ বাংলাতে ও এইরকম সরকার আপনার আনুন । যিনি যোগীজির মত সুশাসন দেবেন এবং গুজরাটের মতো শিল্প এবং কর্মসংস্থান দেবে।’
পাশাপাশি ফের তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সীমান্তে বিএসএফের ক্যাম্প করার জন্য জমি না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন । এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘শত ছিদ্র বাংলার বর্ডার । দীর্ঘ এলাকাতে জমি দেয়নি । বেড়া দেওয়া যায়নি ৷ তাই প্রত্যেকের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে ।’
দুবাই থেকে জঙ্গিদের জন্য টাকা আসতো বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে৷ এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন,’এর উত্তর মুখ্যমন্ত্রী এবং তার ভাইপো দিতে পারবে । মুখ্যমন্ত্রী যতবার বিদেশে গেছেন দুদিন করে দুবাইয়ে থেকেছেন । আর মাননীয় ভাইপো বছরে তিনবার আমেরিকায় যান, দুবাই হয়ে যান, আবার দুবাই হয়ে ফেরেন । দুবাই তো আমরা যাই না,জানিও না কিভাবে কোথায় ঢুকতে হয় বের হতে হয় । পিসি জানে আর ভাইপো জানে । এই বিষয়ে ওদেরই জিজ্ঞেস করুন ।’।