আদিমের আদিমতা খুঁজতে খুঁজতে,
কংক্রিটের জঙ্গল পেরিয়ে,সামাজিকতার ভিড় ঠেলে,
জংলী মনটা যেই দাঁড়ালো গিয়ে সিন্ধুর পাড়ে!
হরপ্পার পরিপাটি সাজানো নগরের জনবিন্যাস,
দেখি কেমন ফিসফিসিয়ে উপহাস করছে আধুনিকতাকে।
লজ্জায় মাথা নীচু করে খানিকটা এগিয়ে যেতেই
দেখা মিলল গুহামানবের । বিমোহিত হলাম–
তার অদ্ভুত অভিব্যক্তি বন্য আচরণে,
প্রতিরক্ষার সুবন্দোবস্ত, সুঠামদেহী ঔজ্জ্বল্য পৌরুষত্বে!
আধুনিকার রূপের মাধুর্যে তখন বিমুগ্ধ সেও–
আদিমতার কাছে আধুনিকতার আত্মসমর্পণ।
আধুনিকতার খোলস ছেড়ে বন্য আমিটা দাঁত নখ বের করে,দুহাত বাড়িয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণ করল সাদরে–
মেকি মহানুভবতা খসে পড়ল নিমেষেই!
শৌখিনতা বনাম বন্যতার সঙ্গমে,
আধুনিকতা মেতে উঠলো আদিমতার অদম্য শৃঙ্গারে।
হাওয়ায় হাওয়ায় রটে গেল নিয়ম উলঙ্ঘনের কথা,
কলঙ্ক নয়, শুধুই দুঃসাহসীকতার পরিচয়।
মাঝখানে তখন তুষার যুগের বিবর্তন–
শিথিল উষ্ণতার পারদের ওঠানামার কালের পরিবর্তন।
চারদিকে হৈ হৈ রৈ রৈ, ধিক্কার চরম নির্লজ্জতার!
আদিমের আদিমতা খুঁজতে খুঁজতে–
সভ্যতার কার্নিশ বেয়ে পা টিপেটিপে অতি সংগোপনে,
আধুনিকতার শৃঙ্খলা ভেঙে পৌঁছে গিয়েছিলাম,
প্রস্তর যুগের কোনো এক গুহামানবের গোপন ডেরায়।
প্রস্তরীভূত হইনি,বিবর্তনের ঘাত-প্রতিঘাতে বিলুপ্ত না-হয়েও,
টিকে থাকার তৌফিক তালিকায় রয়ে গেছি কোনকিছু পরিবর্তন না-করে আজও হংসচঞ্চুর মতো–
ভুলিনি কখনও লুপ্তপ্রায় আমি যে এক জীবন্ত-জীবাশ্ম
!