এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাঁচি,২৭ জানুয়ারী : বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের ‘সফট টার্গেট’ হল ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী মেয়েরা । আদিবাসী মেয়েদের ‘লাভ জিহাদ’-এ ফাঁসিয়ে শুধু ধর্মান্তরিত ও নিকাহ করাই নয়, বরঞ্চ ভারতের নাগরিক বনে যাচ্ছে তারা । বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা হেমন্ত সোরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) ও কংগ্রেসের ভোটব্যাংক হওয়ায় রাজনৈতিক সুরক্ষাও পেয়ে যায় । এভাবে সাঁওতাল সম্প্রদায় অধ্যুষিত সাঁওতাল পরগণা জেলার বহু অংশে জনবিন্যাসের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা ।
ফের ঝাড়খণ্ডের গিরিডির পিরতান্ড এলাকা থেকে এমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে । যেখানে এক আদিবাসী মেয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) যুব মোর্চার ব্লক সম্পাদক মহম্মদ তাজ হুসেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। মেয়েটি জানিয়েছে যে মহম্মদ তাজ হুসেন এবং তার পরিবার তাকে তার ধর্ম গ্রহণ করতে এবং তাকে নিকাহ করতে বাধ্য করছে। প্রতিবাদ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই মামলায় পুলিশ অভিযুক্ত তাজ হোসেনকে জেলে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে,ভুক্তভোগী মেয়েটি তাজ হুসেন এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে পিরতান্ড থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এফআইআর অনুসারে, তাজ প্রথমে মেয়েটির বউদিকে হয়রানি করতে শুরু করে এবং তারপর তার উপর কুদৃষ্টি দেয় । মেয়েটির অভিযোগ, তাজ তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সম্পত্তি দখল করতে চেয়েছিল। যখন সে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তাজ হুসেন হুমকি দিতে শুরু করে এবং এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে তার সম্মানহানি করার হুমকিও দেয়।
পিরতান্ড থানার (Piratand police station) স্টেশন হাউস অফিসার দীপেশ কুমার জানিয়েছেন যে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং আদালতে মেয়েটির বক্তব্য রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন, যেখান থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে, জেএমএম তাজ হোসেনকে তাৎক্ষণিকভাবে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করেছে। জেলা সভাপতি সঞ্জয় সিং বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলা হবে। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত,বিজেপি অভিযোগ করে আসছে যে ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী সমাজ এবং তাদের জমি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের উপর এই অভিযোগগুলি করেছিলেন এবং ঝাড়খণ্ডে এনআরসি আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সরাইকেলায়, অমিত শাহ আরও অভিযোগ করেন যে ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনের সরকার অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহিত করতে সাহায্য করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশকারীদের সুরক্ষা দিচ্ছে । যদিও বাস্তব জেনেশুনেও বিগত বিধানসভার ভোটে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী স্বজাতীয় হেমন্ত সোরেনের উপরেই আস্থা রাখে আদিবাসী সম্প্রদায় ।।