এইদিন ওয়েবডেস্ক,শ্রীনগর,২৬ ডিসেম্বর : মোদি সরকারের উদ্যোগে জম্মু ও কাশ্মীর “সন্ত্রাসবাদের রাজধানী” থেকে এখন “পর্যটন রাজধানী” হয়ে উঠেছে,আবদুল্লাহ, মুফতি এবং নেহেরু-গান্ধী পরিবারকে “লুটপাটের জন্য” এরাজ্যকে দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছিল- বললেন বিজেপির নেতা তরুণ চুগ (Tarun Chugh) । বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং জে-কে বিষয়ক ইনচার্জের দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা । শনিবার জম্মুতে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন । পূর্ববর্তী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোকে নিশানা করে তিনি বলেন,’জম্মু ও কাশ্মীর আজ এগিয়ে যাচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন তিনটি পরিবার জে-কেকে লুটের শিল্পে পরিণত করেছিল। এই তিনটি পরিবার সাত দশক ধরে জে-কে লুট করেছে। জনগণের সম্পদ লুট হয়েছে, এখানকার উন্নয়ন ও শান্তিও লুট হয়েছে ।’ তরুণ চুগ অভিযোগ করেছেন যে তিনটি পরিবার কলম এবং ল্যাপটপের পরিবর্তে কাশ্মীরের যুবকদের হাতে একে-৪৭, পাথর এবং গ্রেনেড তুলে দিয়েছে ।
চুগ আরও অভিযোগ করেছেন যে এই তিনটি পরিবারের “প্রক্সি ভোটের” মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার একটি ঐতিহ্য ছিল । মানুষ ভেবেছিল পুরো কাশ্মীরের রাজনীতি এই তিন পরিবারের পকেটে।
তিনি বলেন,’বাজপেয়ীজি এখানে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন এবং এখন মোদিজি সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন । জে-কে এখন সন্ত্রাসবাদের রাজধানী থেকে পর্যটন রাজধানী হয়ে উঠেছে। সব জায়গায় হোটেল বুক করা হয়েছে, তরুণরা চাকরি পাচ্ছে । পাথর নিক্ষেপ এখন অতীত । উন্নয়ন হচ্ছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে ।’
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেছেন যে মুফতি এবং আবদুল্লাহ এবং তাদের পুত্ররা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শাহী দাওয়াখানার মতো রাজনীতি চালানোর চেষ্টা করেছেন, তবে লোকেরা এখন তাদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছে । জনগণ উন্নয়ন, শান্তি, কর্মসংস্থান ও সমৃদ্ধি চায়। এই তিনটি পরিবার জম্মু-কাশ্মীরকে ১৯৮০-এর দশকে ফিরিয়ে নিতে চায় যা আমরা কোনোভাবেই হতে দেব না। আমরা এখানে শান্তি বিঘ্নিত হতে দেব না ।’
উপত্যকায় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে চুগ বলেন,’আমরা প্রত্যেকের নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যারা নিরপরাধদের হত্যা করে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না । হত্যাকারীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এটি বাইরে থেকে তৈরি এবং এখানে কিছু লোকের দ্বারা সমর্থিত একটি চক্রান্ত। আমরা এই ধরনের সব নকশা বানচাল করব।’ তিনি আরও বলেন,’নির্বাচন কমিশন জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আশা করছি যে তারা শীঘ্রই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে ।’ আগামী বছরের মে মাসে জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলে তিনি দলীয় কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ।।