এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,১০ অক্টোবর : ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের পর প্রথম বিধানসভার নির্বাচন হল জম্মু-কাশ্মীরে । দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর জম্মু ও কাশ্মীরে একটি পুনর্নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে। বিধানসভা নির্বাচনে, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস জোট ৪৮ টি আসন জিতেছে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। জয়ের পর ওমর আবদুল্লাহ মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে ঘোষণা করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ। তবে রাজ্যের পরিস্থিতি আগের মতো নেই। ওমর আবদুল্লাহ যখন ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন জম্মু ও কাশ্মীর একটি পূর্ণ রাজ্য ছিল এবং এর নিজস্ব সংবিধান ছিল। তবে, এখন জম্মু ও কাশ্মীর একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এখন এই নির্বাচিত সরকার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদন ও নির্দেশ ছাড়া বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
২০১৯ সালে, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল সংসদে পাস হয়েছিল। ফলস্বরূপ, রাজ্যটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা আছে, লাদাখে নেই। সংবিধানের ২৩৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রতিটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত থাকবে এবং রাষ্ট্রপতি প্রতিটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একজন প্রশাসক নিয়োগ করবেন। আন্দামান ও নিকোবর, দিল্লি, পুদুচেরি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর রয়েছে যেখানে দমন দিউ এবং দাদরা নগর হাভেলি, লাক্ষাদ্বীপ, চণ্ডীগড় এবং লাদাখের গভর্নর রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বেশ কিছু ক্ষমতা রয়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা ব্যতীত অন্যান্য বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকারের থাকলেও সেসব আইন বাস্তবায়নের জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদন অপরিহার্য। এছাড়া আমলাতন্ত্র ও দুর্নীতি দমন ব্যুরোর ওপরও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তাই যেকোনো সরকারি কর্মকর্তার বদলি বা পদায়নের জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদন নিতে হয়।
মন্ত্রিপরিষদের সাথে পরামর্শ না করার জন্য সরকার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কোনো সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না বা এই ভিত্তিতে তার সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যায় না। নির্বাচনের আগে অ্যাডভোকেট জেনারেল ও আইন কর্মকর্তা নিয়োগের অধিকারও পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এছাড়াও, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার মেয়াদ আগে ছিল ৬ বছর, কিন্তু এখন এখানেও সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর স্থায়ী হবে এবং তারপরে আবার নির্বাচন হবে।।