এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,০৬ জুলাই : হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করার চক্রের মূল হোতা উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলার উত্তরৌলা শহরের বাসিন্দা মহম্মদ জালালউদ্দিন ওরফে চাঙ্গুর বাবাকে(Mohammed Jamaluddin, alias Changur Baba) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) চাঙ্গুর বাবার সাথে গ্যাং সদস্য নীতু ওরফে নাসরিনকেও (Nasreen) গ্রেপ্তার করেছে, যার মাথায় ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার রয়েছে । এটিএস তাদের দুজনকেই লখনউ আদালতে হাজির করে, যেখান থেকে তাদের বিচারিক হেফাজতে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আইন ও শৃঙ্খলা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অমিতাভ যশ বলেছেন, অমিতাভ যশ বলেছেন, “এসটিএফ তথ্য পেয়েছিল যে বলরামপুর জেলার উত্তরৌলা শহরে চাঙ্গুর বাবা ওরফে জামালউদ্দিন বাবা, যিনি নিজেকে হাজী পীর জালালউদ্দিন হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন এবং ধর্মান্তরের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছিলে । তদন্তের সময় জানা যায় যে তিনি তার এজেন্টদের মাধ্যমে মেয়েদের প্রলুব্ধ করে ধর্মান্তরের জন্য উৎসাহিত করেন। বোঝা যায় যে তারা একশ কোটি টাকারও বেশি বিদেশী তহবিল পেয়েছে, যা তারা ধর্মান্তরের জন্য ব্যবহার করে। তারা সেই শহরে অনেক সম্পত্তিও অর্জন করেছে। ব্যক্তিটি ৪০-৫০ বার ইসলামিক দেশ ভ্রমণ করেছে। এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহের পর, একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং বর্তমানে ইউপি এটিএস তদন্ত করছে। এই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, এবং আরও ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব… তাদের নেটওয়ার্ক সমগ্র ভারত জুড়ে বিস্তৃত, এবং বেশিরভাগ তহবিল উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে এসেছে, যা ইউপি এসটিএফ তদন্ত করছে।”
তিনি আরও জানান,সংগঠিতভাবে অবৈধ ধর্মান্তরিতকারী এই চক্রের আরও অনেক সদস্যের খোঁজ চলছে। তদন্তে জানা গেছে যে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে ১০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থায়ন পেয়েছে এই চক্র।
এর আগে এই মামলায় ৮ এপ্রিল চাঙ্গুর বাবার ছেলে মেহবুব এবং নবীন ওরফে জামালুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আরও জানা গেছে যে এই গ্যাং সদস্যরা ৪০ টিরও বেশি ইসলামিক দেশে ভ্রমণ করেছে। চাঙ্গুর ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং শিখ মেয়েদের ধর্মান্তরিতকারী এজেন্টরা ১৬ লক্ষ টাকা এবং অনগ্রসর জাতের মেয়ের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে পেত।
এক বছর আগে, আজমগড়ের দেবগাঁও থানায় অবৈধ ধর্মান্তরের অভিযোগে জালালউদ্দিন ওরফে চাঙ্গুর বাবা, তার আত্মীয়স্বজন এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আইন ও শৃঙ্খলা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের মতে, বলরামপুরের উত্তরৌলা থানা এলাকার মাধপুর গ্রামে পীর সাহেব, নাসরিন, জামালউদ্দিন, মেহবুব এবং অন্যান্যদের নামে অনেক সন্দেহভাজন ব্যক্তির বসবাস, বিদেশী তহবিলের মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন এবং বিলাসবহুল গাড়ি কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা তদন্ত করে এসটিএফ। বলরামপুরে অবৈধ ধর্মান্তরের সাথে জড়িত এই সংঘবদ্ধ চক্রকে ধরেছে এসটিএফ।
এসটিএফ মামলা দায়ের করেছে এবং বিষয়টি তদন্ত করছে। চাঙ্গুর বাবার জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে হিন্দু ও অমুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং শিশুদের প্রলুব্ধ করে ধর্মান্তরিত করা হত। এর জন্য এই দলটি তাদের এজেন্টদের মোটা অঙ্কের অর্থও দিয়েছিল। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং শিখ মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য ১৫-১৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। অনগ্রসর বর্ণের একজন মেয়েকে ধর্মান্তরিত করার জন্য ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা এবং অন্য বর্ণের একজন মেয়েকে ধর্মান্তরিত করার জন্য আট থেকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহের অর্থ দিয়ে, এই দলটি প্রতারণা ও ভয় দেখিয়ে হিন্দু মেয়েদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করছিল। এসটিএফ-এর মতে, এই দলটি দরিদ্র ও অসহায় মেয়ে এবং শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে এবং কোনও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ধর্মান্তরিত করেছিল। তদন্তে জানা গেছে যে চাঙ্গুর বাবা তিন-চার বছর ধরে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা নবীন ঘনশ্যাম রোহরা, তার স্ত্রী নীতু নবীন রোহরা এবং মেয়ে সামাল নবীন রোহরার সাথে মাধপুর গ্রামে বসবাস করছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় ফের এই প্রকার জিহাদিদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন । তিনি হিন্দি সংবাদপত্র জাগরণের প্রতিবেদনটি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন,’ধর্মান্তরের জন্য ১০০ কোটি বিদেশী তহবিল । ধর্মান্তরিত জিহাদিদের উপর NSA, UAPA, যুদ্ধ, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং গ্যাংস্টার আইন প্রয়োগ করতে সমস্যা কী? জিহাদিদের ১০০% সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করার এবং ১ বছরের মধ্যে তাদের ফাঁসিতে ঝুলানোর জন্য কখন আইন করা হবে?’

