এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতাড়(পূর্ব বর্ধমান),০৫ জানুয়ারী ঃ ‘দিদির ভাইয়ের জন্য জেল ঠিক করা হচ্ছে । রাজ্যের সব জেলগুলো পরিস্কার করা হচ্ছে । মে মাসের পর সব জেলে যাবে ।’ মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কুড়মুনের হাটতলায় জনসভায় যোগ দিয়ে এই ভাষাতেই তৃণমূল কংগ্রেসেকে আক্রমন শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সময় মোদীজী বাড়ি বাড়ি রেশন পাঠিয়ে দিয়েছেন । সেই রেশনের চাল,ডাল,গম সব পাচার করা হয়েছে । তৃণমূল নেতারা সেই সব রেশনের সামগ্রী গায়েব করেছে। রেশনের ভালো চাল,গম সব বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে।’ এই প্রসঙ্গে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে ‘চাল চোর’ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ ।
এরপর কেন্দ্রের কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সারা ভারতবর্ষে ৯ কোটির বেশী কৃষক ১৪ হাজার টাকা পেয়েছেন ।আমরা আন্দোলন করেছি বলে এখন দিদিমণি মানতে বাধ্য হয়েছে । দিদি চাইছেন কৃষকদের একাউন্টে নয়,টাকা দিতে হবে তার হাতে । কিন্তু ওই টাকা দিদির হাতে গেলেই সব কাটমানি হয়ে যাবে ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘মোদীজী দেখলেন আমফানের টাকা সব আত্মসাৎ করেছেন দিদির ভাইয়েরা । ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা চলে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের একাউন্টে ।’
দেখুন ভিডিও :
লক্ষ্মীরতন শুক্লের পদত্যাগ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘প্রতিদিনই উইকেট পড়ছে । দিদির কাছে ফোন এলেই দিদি ভাবেন আবার কেউ পদত্যাগ করেছে।’ তাঁর কথায়, ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে দিদি ভাবছেন ও পদত্যাগ করবে না । রাজীব তো আমার খাঁটি লোক ।’
পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে দিলীপ বলেন, ‘স্কুলে শিক্ষক নাই । ছেলেরা স্কুলে যাচ্ছে আর মিড ডে মিলের ভাত খেয়ে চলে আসছে ।’ তাঁর কথায়, ‘বিশ্বভারতীকে নিয়ে নোংরামী করছে রাজ্য সরকার । সেখানকার গেট বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ।’
এদিন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওসব ঢপের চপ।’ এরপর উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মে মাসে নির্বাচন আসছে।আপনারা হাতে কার্ড নিয়ে বুথে যাবেন । এবার আর দিদির পুলিশ বুথে
থাকবে না । দিদির ভাইয়েরা বেশী বাড়াবাড়ি করলে ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করে দেবে।’
এদিনের ভাতাড়ের কুড়মুনের জনসভায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ধমান-দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া,বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার,সদ্য দলত্যাগী সাংসদ সুনীল মণ্ডলসহ জেলার একাধিক বিজেপি নেতা ।
এদিন সুনীল মন্ডল তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা পিকেকে শকুন বলে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমি আর শুভেন্দু বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঘন্টা বাজিয়েছি । তৃণমূলের বঙ্গধ্বনি শুরু হয়ে গেছে । মন্ত্রীসভা থেকে ও জেলা সভাপতির পদ থেকে মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন। শুরু হয়ে গেছে বঙ্গধ্বনি যাত্রা।’