দিব্যেন্দু রায়,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২৩ জুলাই : সম্প্রতি নিয়ে বিবাদের জেরে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার কুড়ুম্বা গ্রামের গৃহবধূ বীথিকা গড়াই (৪৩)কে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় ধৃত বধূর ভাসুরপো আশুতোষ গড়াই ও তার ছেলে পূর্নচন্দ্র গড়াইকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আজ রবিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ । অন্যদিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বীথিকাদেবী । চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক । এদিকে নৃশংস এই ঘটনায় গ্রাম জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । গ্রামবাসীরা দুই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে ।
জানা গেছে,বাড়ির পাশের একটা জায়গা নিয়ে বীথিকাদেবীদের সঙ্গে তাঁর ভাসুরপো আশুতোষ গড়াইয়ের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল । বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে । সেই ঝামেলার জেরে শনিবার ভোরে বীথিকাদেবী যখন প্রাতভ্রমণে বের হয়েছিলেন তখন আশুতোষ গড়াই ও তার ছেলে পূর্নচন্দ্র মিলে তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় । তার আগে বাবা ও ছেলে মিলে বীথিকাদেবীর মুখ, হাত ও পা বেঁধে দেয় । যেকারনে চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি করতে পারেননি তিনি । এরপর আশুতোষরা বধূকে বাড়ির সদর দরজা দিয়ে না নিয়ে গিয়ে গোয়ালঘরের কাছে একটি ভাঙা জানালার ফাঁক দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায় । তারপর বধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় । বীথিকাদেবী অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করলে আশুতোষ তাঁকে শক্ত করে ধরে থাকে । যেকারনে আশুতোষও অল্পবিস্তর দগ্ধ হয় ।
এদিকে মায়ের এই অবস্থা দেখে সমানে কেঁদে যাচ্ছে বীথিকাদেবীর সন্তান সুরেশ । তিনি এদিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন,’এই ফালি জায়গার জন্য ওরা মায়ের সঙ্গে এমন নৃশংস আচরণ করবে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি ।’ বীথিকাদেবীর প্রতিবেশী বধূ মল্লিকা গড়াই বলেন, ‘আশুতোষ গড়াই কথায় কথায় মামলার হুমকি দিত । সেই কারনে ওদের ঝামেলার বিষয়ে আমরা নাক গলাতাম না । কিন্তু ওরা যে এতটা নৃশংস হতে পারে তা কখনো কল্পনাও করিনি ।’।