এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৫ ফেব্রুয়ারী : দেশের সংখ্যাগুরুদের দ্বারা খুন,ধর্ষণসহ যাবতীয় নিপিড়নের শিকার হতে হতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বাংলাদেশের হিন্দুদের । হিন্দুরা বুঝে গেছেন, নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে ও মৌলবাদী শক্তির হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে একজোট হওয়া ছাড়া তাদের কাছে আর বিকল্প কোনো রাস্তা নেই । সেই কারনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের আহ্বানে শনিবার ঢাকায় আয়োজিত মহাসম্মেলনে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ওই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন । কাতারে কাতারে মানুষ গেরুয়া পাগড়ি ও ধর্মীয় পতাকা হাতে নিয়ে ঢাকার রাজপথে মিছিল করে সভাস্থলে উপস্থিত হন । ওঠে “জয় শ্রীরাম”সহ বিভিন্ন ধর্মীয় শ্লোগান । বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের ওই সভায় উপস্থিত থাকার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল সংগঠনের পক্ষ থেকে । কিন্তু তিনি কলকাতা থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন ।
দেখুন ভিডিও :-
শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) সকাল ৮ থেকে এই সম্মেলনটি আয়োজিত হয় ঢাকার গুলিস্থানের মহানগর নাট্যমঞ্চে । বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ সহ শাসকদল আওয়ামি লিগের কয়েকজন নেতাকেও সভামঞ্চে দেখা গিয়েছিল । তাঁদের সামনেই বাংলাদেশের হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক অভিযোগ তোলেন,’এতদিন বাংলাদেশের হিন্দুদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছে রাজনৈতিক দলগুলি । ১৯৫২ সাল থেকে এদেশের হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার । হিন্দুদের জমি জায়গা দখল করে নেওয়া হচ্ছে । ধর্মীয় অজুহাত তুলে দাঙ্গা বাধানো হচ্ছে । সেই কারনে বাংলাদেশের হিন্দুরা আজ প্রাণ বাঁচাতে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন । দেশের বাকি হিন্দুরা আতঙ্কিত, অসহায় । এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশে হিন্দু নিশ্চিহ্ন হতে বেশি দেরি নেই ।’ সেই কারনে পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য সংসদে আসন সংরক্ষণের দাবি তোলেন গোবিন্দ চন্দ্রবাবু । পাশাপাশি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনেরও দাবি তোলা হয় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের পক্ষ থেকে । হিন্দু সংগঠনের ওই সম্মেলনে বিপুল সংখ্যায় মহিলারা উপস্থিত হয়েছিলেন ।।