জন্মগত নয় যে ব্রহ্মত্ব অর্জিত,
অধিকারে যা প্রমাণিত বারংবার,
তীক্ষ্ণধী কৃশকায়া সৌম্যকান্তি ক্রান্তদর্শী ঋষির আত্মকথন;
শৈশবের সারল্যে মনে জাগে সাধ ব্রহ্মজ্ঞান আশে,
মহামুনি গৌতম অদ্বিতীয় একমেবং,
হে আর্য! তব অপার জ্ঞানের শিখায় প্রজ্জ্বলিত করো এ অন্তর।
স্থিতধী মুখমন্ডলে অযুত নক্ষত্রের আলোকপাত।
কি নাম পুত্র ! কি তোমার বংশ পরিচয়?
শিহরণ জাগে অবোধ বালক মনের মাঝে,
দিগচক্রবালে পরিযায়ী হংস বলাকার উড্ডীন পাখায়।
ফিরে আসে নতশিরে বন প্রান্তে পর্ণকুটির ছায়,
শুষ্ক আননে শুধায় গর্ভধারিনীরে;
‘মাতা কে মোর পিতা ‘?’ কোন কুলজাত’? ‘ কি বা মোর পরিচয়’?
অশ্রু বিজরিত নয়নে নতশিরে বলে ওঠে,
বহুভোগ্যা নারী আমি শূদ্রানী জবালা!
তার পুত্র তুমি…. দাসীবৃত্তি পেশা মোর,
মাতা বল পিতা বল দুইই আমি……
গুরু গৌতম দ্বারে উপনীত হয়ে দৃপ্তকণ্ঠের প্রকাশ,
শূদ্রানীর গর্ভজাত আমি জারজ সত্যকাম!
স্তম্ভিত শিহরিত ব্রহ্মজ্ঞানের আধার!
হে বৎস! আজ হতে তুমি নও নাম গোত্রহীন,
তোমার পরিচয় তুমি জাবাল সত্যকাম;
পরম ব্রহ্ম আজ ধরা দিলে অমোঘ সত্যবাদীতায়।
তুমি জন্মগত ব্রহ্মচারী অভ্রান্ত বিবেক,
মহামানবের অন্তরাত্মার কণ্ঠস্বর।
এক অতলান্তিক বোধহীন গহ্বরে প্রস্ফুটিত হোক ব্রহ্মান্ডের প্রাণরস,
গুরু গৌতমের অক্ষিগোলকে সত্যকাম রূপে পরম ব্রহ্ম দরশন।
যুগ বদলায়…সমাজ বদলায়…
বদলায় না বিবেকের কষ্টিপাথরে উত্তীর্ণ সত্যের স্বরূপ।
হে বেজন্মা !
সত্যকাম যুগে যুগে জ্বালার গর্ভাশয়ে জারিত হয়ে,
ব্রহ্মতেজে করো ব্রাহ্মনত্ব অর্জন।।