এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৫ মে : গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে মাঠে চাষের কাজ করার সময় কোচবিহার জেলার শীতলকুচির বাসিন্দা পেশায় কৃষক উকিল বর্মণকে অপহরণ করে বাংলাদেশের কিছু দুষ্কৃতী । বুধবার রাত্রি ৯টা নাগাদ শীতলকুচির অমৃত বিএসএফ ক্যাম্পে আসেন তিনি । কিন্তু কীভাবে তিনি বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এলেন, কীভাবে বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পেলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মনে করছেন যে এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দক্ষ কুটনীতির কারনেই সম্ভব হয়েছে ।
বিএসএফ ক্যাম্পে উকিল বর্মণের ছবি ভাগ করে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছেন,”মোদীজী আছেন বলেই সম্ভব” । তিনি লিখেছেন,’গত এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখে কোচবিহার জেলার শীতলকুচির বাসিন্দা, পেশায় কৃষক; রাজবংশী সমাজের উকিল বর্মণ, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় নিজের জমিতে চাষের কাজ করার সময় বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তি ওনাকে অপহরণ করে। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার ও বিএসএফ এর যৌথ উদ্যোগে উকিল বর্মণ নিরাপদে দেশে ফিরেছেন।আমি যশস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, যশস্বী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ জী এবং ডিজি বিএসএফ কে ধন্যবাদ জানাই ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ওনাকে সুরক্ষিত ভাবে ও সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। জয় হিন্দ । মোদীজী আছেন বলেই সম্ভব ।’
প্রসঙ্গত,কোচবিহার জেলার পশ্চিম শীতলকুচির সীমান্ত গ্রাম বাজারবাড়ির বাসিন্দা উকিল বর্মনের । কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ডে তাঁর বিঘাতিনেক চাষের জমি আছে । গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে স্ত্রীর সাথে সেই জমিতে চাষের কাজ করতে গিয়েছিলেন উকিল । সেই সময় তাকে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিজেবি । তার ঠিক ঘণ্টাখানেক আগেই ঘটনাস্থলের অদূরে এক বাংলাদেশি পাচারকারীকে গুলি করেছিল বিএসএফ। তারই বদলা নিতেই উকিলকে অপহরণ করা হয় । অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে উকিলকে মারধরের পর বাংলাদেশের হাতিবান্ধা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । বিনা অপরাধে দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে তাকে বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলে বন্দি রাখা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের আক্রমণাত্মক রূপ দেখে ভয় পেয়ে বুধবার রাত ৯টা নাগাদ উকিল বর্মনকে ছেড়ে দেয় বাংলাদেশ ।।

