এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,১০ অক্টোবর : সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে পিছন থেকে সহায়তা দিচ্ছে ইরান,তুরস্ক,সিরিয়া,ইরাক,লেবাবনের মত ইসলামি কট্টরপন্থী দেশগুলি । যদিও ইসরায়েল বর্তমানে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে অনেকাংশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে এসেছে । এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে ইসলামি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটা উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ(ইউএনএসসি) । সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে একটা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইজরায়েল আজ আক্রমণের শিকার হতে পারে, তবে এটি কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়। এটি মুক্ত বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ… এবং আমরা যদি সফল না হই, তাহলে পুরো বিশ্বকে এর মূল্য দিতে হবে ।’
পাশাপাশি ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে একটা যৌথ বিবৃতি জারি করেছে আমেরিকা,ব্রিটেন,ইতালি,ফ্রান্স ও জার্মানি । বিবৃতিতে বলা হয়েছে,’আজ, আমরা ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর স্কোলজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী সুনাক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন – আমাদের অটল এবং ঐক্যবদ্ধ সমর্থন প্রকাশ করছি
ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি,এবং হামাসের ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতি আমাদের দ্ব্যর্থহীন নিন্দা করছি ।
আমরা স্পষ্ট করে দিচ্ছি যে হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই,নেই
বৈধতাও এবং সর্বজনীনভাবে এর নিন্দা করা আবশ্যক। সন্ত্রাসবাদ কোনো ভাইবেই যুক্তিগ্রাহ্য হতে পারে না । সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, বিশ্ব হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আতঙ্কের চোখে দেখেছে,তারা
পরিবারগুলিকে তাদের বাড়িতে ঢুকে গণহত্যা করেছে, একটি সংগীত উৎসব উপভোগ করা ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বৃদ্ধ মহিলা, শিশু এবং পুরো পরিবারকে অপহরণ করেছে, যারা এখনও হামাসের হাতে বন্দী । আমাদের দেশগুলি এই ধরনের নৃশংসতার বিরুদ্ধে নিজেকে এবং তার জনগণকে রক্ষা করার প্রচেষ্টায় ইসরায়েলকে সমর্থন করবে।’ পাশাপাশি নাম না করে ইরানকে সতর্ক করে বলা হয়েছে,আমরা আরও জোর দিয়েছি যে ইসরায়েলের প্রতিকূল কোনও পক্ষের পক্ষে সুবিধার জন্য এই আক্রমণগুলিকে কাজে লাগানোর মুহূর্ত নয় ।’
এরপর বলা হয়,’আমরা সবাই ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকৃতি দিই এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার সমান পদক্ষেপকে সমর্থন করি। কিন্তু এটা ভুললে চলবে না যে হামাস সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে না এবং এরা সন্ত্রাস ও রক্তপাত ছাড়া ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ভালো কিছু করতে পারে না ।’ পরিশেষে বলা হয় যে আগামী দিনগুলিতে, আমরা মিত্র হিসাবে এবং ইসরায়েলের সাধারণ বন্ধু হিসাবে একত্রিত এবং সমন্বিত থাকব, যাতে ইসরায়েল আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয় এবং শেষ পর্যন্ত একটি শান্তিপূর্ণ ও সমন্বিত মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের জন্য সমাধান সূত্র বের করতে পারে।
এদিকে খবর যে ইসরায়েলের বাহিনীর ব্যাপক বোমা বর্ষণের পর হামাসের সন্ত্রাসবাদীরা লেবাননে পালিয়েছে । এখন লেবানন থেকে তারা ইসরায়েলের উপর হামলা চালাচ্ছে । ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার কাছে এবং লেবাননের সীমান্তে অবস্থান নিচ্ছে । লেবাননের সীমান্তে বিপুল সংখ্যক শক্তিবৃদ্ধি করেছে তারা । মোতায়েন করা হয়েছে Merkava 4M ‘Windbreaker’ MBTs, Nagmash & Vayzata (M113) APCs এবং 155mm/L39 M109A5 ‘Doher’ স্ব-চালিত হাউইটজার তোপ । ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে । সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে পাশাপাশি গাজায় চলছে আকাশ ও স্থল আক্রমণ ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার ইংরেজিতে একটি বিবৃতিতে বলেছেন,
‘হামাস পশু। হামাস হল আইএসআইএস। ইসরাইল এই যুদ্ধ চায়নি, কিন্তু ইসরাইল এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে ।’।