এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,১৮ অক্টোবর : উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর দুই মাস্টারমাইন্ডের এনকাউন্টারের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে তারা পুলিশের সামনে নিজেদের ভুল স্বীকার করে বলছে আর অপরাধ করবে না। তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত নেপালে পালানোর প্রক্রিয়ায় ছিল। এনকাউন্টার হওয়া অভিযুক্তদের নাম মহম্মদ সরফরাজ ওরফে রিংকু এবং তার ছেলে মহম্মদ তারিন ওরফে সাবলু । এনকাউন্টারের পর একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যাতে দেখা যায় পুলিশ জখম অভিযুক্তদের ধরে গাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে ।
এই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মীদের উভয় অভিযুক্তকে কাঁধে ঝুলিয়ে গাড়িতে তুলে দিতে দেখা যাচ্ছে। পুলিশ বলছে,’তোমরা আমাদের উপর গুলি চালালে কেন ? এমনিতেই একটা অপরাধ করেছ, তার উপর আর একটা অপরাধ ? এটা কি তোমাদের ভুল নয় ?’ তখন সরফরাজকে বলতে শোনা যায়, ‘ভুল হয়ে গেছে স্যর,আর কখনো করব না । আমরা ভেবেছিলাম আমরা পালিয়ে যাব কিন্তু আমরা ভুল করেছি।’
ভিডিওটি সাংবাদিক রুবিকা লিয়াকত শেয়ার করে লিখেছেন,’এনকাউন্টারের পর পুলিশের সঙ্গে অভিযুক্ত সরফরাজের কথোপকথন শুনুন। এটি একটি ভুল ছিল, আমি আর কখনও এটি করব না স্যার।’
উল্লেখ্য,বাহরাইচে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রার সময় খুন হন রামগোপাল মিশ্র নামে এক হিন্দু যুবক । তাঁকে খুনের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত সরফরাজ ও তার ছেলে মোহাম্মদ তারিন । মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় রামগোপাল মিশ্রের উপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে তাকে খুন করা হয় । তাঁকে নির্মমভাবে পেটানো হয় । তুলে ফেলা হয় হাত ও পায়ের নখ । বিদ্যুতের শক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল তাঁকে । এখানেই থেমে থাকেনি নরপশু সরফরাজ ও তার ছেলে মোহাম্মদ তারিন । ছররা বন্দুক দিয়ে তার উপর গুলি চালানো হয় । দেহ উদ্ধারের পর দেখা যায় বুক থেকে গলা পর্যন্ত বিঁধে রয়েছে বুলেট ।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃতের পরিবারের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওপর থেকে নির্দেশের কথা বলে প্রতিবেদনটি জানাতে অস্বীকৃতি জানায় । তবে বিভাগীয় কর্মকর্তা নীরব সুরে বলেছিলেন যে গুলি করার আগে রামগোপালকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল তাও পোস্টমর্টেমে উল্লেখ করা হয়েছে এবং পরিবারের অভিযোগ সত্য।।