এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর দিনাজপুর,২৮ মার্চ : উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহারের মেঘনাদ সাহা কলেজে ঈদে ২ দিনের পরিবর্তে ৪ দিনের ছুটি ঘোষণা করা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে । বিভিন্ন মহল থেকে এর প্রতিবাদ শুরু হয়েছে । রাজ্য বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার একে ‘তৃণমূলের তোষণের রাজনীতি’ বলে অবিহিত করেছেন । তিনি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডঃ মুকুন্দ মিশ্রর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি এক্স-এ শেয়ার করেছেন । বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক ঘোষিত শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে ২৭.০৩.২০২৫ তারিখে কলেজ বন্ধ থাকবে। এবং পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, ডঃ মেঘনাদ সাহা কলেজ কর্তৃক অনুমোদিত, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ২৮.০৩.২০২৫ এবং ২৯.০৩.২০২৫ তারিখে শিক্ষার্থীদের প্রার্থনার জন্য কলেজ বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা অনুসারে ৩১.০৩.২০২৫ এবং ০১.০৪.২০২৫ তারিখে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে কলেজ বন্ধ থাকবে।’
সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন,’আবারও,তৃণমূলের তোষণের রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পেয়েছে! উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার কলেজে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেন (পরিচালনা কমিটি) এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধাঁচের একটি মডেল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম যেখানে মাত্র ২ দিনের ঈদ ছুটির অনুমতি রয়েছে, সেখানে এই কলেজটি ৪ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে! কাকে খুশি করার জন্য এটি করা হচ্ছে ? কেন এই নির্লজ্জ সংখ্যালঘু তোষণ ? যদি ঈদে অতিরিক্ত ছুটি পাওয়া যায়, তাহলে রাম নবমী, জন্মাষ্টমী বা দুর্গাপূজা কেন নয় ? এটি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা, যেখানে এক সম্প্রদায় বিশেষ সুবিধা পায় এবং অন্যরা উপেক্ষিত থাকে ?’
তিনি আরও লিখেছেন,’এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়! রাম নবমীর শোভাযাত্রা বন্ধ করা থেকে শুরু করে “ধর্মনিরপেক্ষতার” নামে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন বন্ধ করা পর্যন্ত, মমতার সরকার বারবার হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে এবং তার ভোট ব্যাংককে সন্তুষ্ট করার জন্য পিছনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। বাংলায় প্রাতিষ্ঠানিক তোষণ চলছে—যেখানে নিয়ম-কানুনকে নত করা হচ্ছে, ঐতিহ্যকে উপেক্ষা করা হচ্ছে এবং হিন্দুদের তাদের নিজস্ব দেশে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো বোধ করা হচ্ছে। মমতা কি এখন হিন্দু উৎসবের জন্য সমান অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করবেন? নাকি তিনি তার নির্বাচনী ধর্মনিরপেক্ষতা অব্যাহত রাখবেন?’ সব শেষে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘এটা শাসনব্যবস্থা নয়; এটা ভোটব্যাংকের রাজনীতির চরমতম রূপ! বাংলার প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা প্রাপ্য, এমন ব্যবস্থা নয় যেখানে সমতার চেয়ে তোষণকে প্রাধান্য দেওয়া হয়! মমতা অফিসিয়াল।’
পাশাপাশি সুকান্তবাবু এবিভিপির কেন্দ্রীয় নেতা সুব্রত অধিকারীর একটা মন্তব্যের স্ক্রীন শর্ট শেয়ার করেছেন। যেখানে তিনি প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘উল্লেখ্য, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিত্ব করেন বিধায়ক মোশারফ হোসেন। ঈদের ছুটিতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই, তবে যদি ঈদের জন্য অতিরিক্ত ছুটি দেওয়া হয়, তাহলে রাম নবমীর প্রতিও একই বিবেচনা করা উচিত। দেখা যাক আপনারা কতটা ধর্মনিরপেক্ষ!’ তিনি আরও লিখেছেন,’আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে এই বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি।’ তিনিও কলেজের নোটিশটি নিজের এক্স হ্যান্ডেল শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন, ‘বিধায়ক মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে ইটাহার কলেজে “বাংলাদেশ মডেল” বাস্তবায়িত হচ্ছে রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের জন্য দুই দিনের ছুটি মঞ্জুর করেছে। তবে, ইটাহার কলেজ একতরফাভাবে চার দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে।’।
Itahar College to have 4 days off instead of 2 for Eid, ‘politics of appeasing Trinamool’: Sukanta Majumdar

