এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৫ আগস্ট : কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে যে হিন্দু বিদ্বেষী এবং ভারত বিদ্বেষী বলে পরিচিত বাংলাদেশের কুমিল্লার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাংসদ বাহার উদ্দিন বাহার কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনে আত্মগোপন করে আছে । তার সঙ্গে রয়েছে হিন্দু ও ভারত বিদ্বেষী মেয়ে তাহসীন বাহারও । যদিও এই দাবির বিষয়ে কোনো প্রমান এইদিনের পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি । এদিকে এর জের মিটতে না মিটতেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে আরও একটি দাবি করা হচ্ছে । আর সেই দাবি হল, ২০২৪ সালের ১০ জুলাই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বংশাল থানার মিরনজল্লা হরিজন পল্লীর শতাধিক হিন্দু পরিবারকে উচ্ছেদ ও মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরকারী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসও ভারতে লুকিয়ে আছে৷ তবে আওয়ামী লীগের ওই নেতা কোন রাজ্যের কোথায় লুকিয়ে আছে তা স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি ।
“হিন্দু নিউজ” নামে একটি সোশ্যাল মিডিয়ার খবরের চ্যানেলের আজকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকার বংশাল থানার মিরনজল্লা হরিজন পল্লীতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে ১০ জুলাই ২০২৪ বুধবার। ওই দিন হরিজন সম্প্রদায়ের শতাধিক পরিবারকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়। শুধু উচ্ছেদই নয়, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ সময় হিন্দু মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় এবং নীলক্ষেত এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন সম্পত্তি দখল করা হয়। এই ঘটনার পেছনে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উচ্ছেদ কার্যক্রমে তার নির্দেশনা ছিল এবং তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই দখল প্রক্রিয়া চালানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত বছর ৫ আগস্ট বিগত সরকার পতনের পর থেকে ফজলে নূর তাপস ভারতে পালিয়ে আছেন। এই তথ্য ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। হিন্দু সমাজ বলছে, এত বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িত একজন ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা না হলে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা আরও দুর্বল হবে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের ১০-১৫ জন প্রভাবশালী এমপি ও রাজনৈতিক নেতা দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর উস্কানিমূলক মন্তব্য করে আসছিল এবং তাদের সম্পত্তি দখলে সক্রিয় ছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে হিন্দুদের “মালোয়ানের বাচ্চা” বলে অপমান করত।
প্রতিবেদক সব শেষে লিখেছেন,প্রশ্ন উঠেছে—এই অপরাধীরা কি আইনের আওতায় আসবে? হিন্দু সমাজ দাবি করছে, শুধু ফজলে নূর তাপস নয়, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীর নাম ধীরে ধীরে প্রকাশ করা হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এর আগে শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাংসদ বাহার উদ্দিন বাহারের কলকাতায় লুকিয়ে থাকার বিষয়ে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয় । ‘মৃদুল বিহাইন্ড ইউ’ ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে,বাংলাদেশের চরম হিন্দু বিদ্বেষী আজ পালিয়েছে হিন্দুদেরই দেশে। সে লুকিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গের নিউটাউন রাজারহাট এলাকায়। এর নাম বাহার উদ্দিন বাহার।বাড়ি কুমিল্লায়। বাহারকে আশ্রয় দিয়েছে কারা ? ২০২১ সালে এই মাফিয়া সারাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ, মন্দির বাড়িঘর লুটপাট ভাঙচুর সব কিছুই এরই ইন্ধনে হয়েছে। একে ধরুন চরম শাস্তি দিন আর যদি না পারেন তাহলে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিন। ২০২১ সালে প্রায় ৪০টি জেলায় দফায় দফায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ ও মন্দির ভাংচুর করা হয়। নিউটাউন রাজাকার সহ পশ্চিমবঙ্গের সকল হিন্দুদের নিকট অনুরোধ এই বদমাইশ বাহার ও তার মেয়েকে খুঁজে বের করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’ ওই পেজে বাহার উদ্দিন বাহার ও তার মেয়ের ছবি পোস্ট করা হয়েছে । পাশাপাশি মুখের দাড়ি কেটে বর্তমানে বাহার উদ্দিন বাহারের একটা ছবিও দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রমাণস্বরূপ কিছু ছবিও দেওয়া হয়েছে ।।

