এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব মেদিনীপুর,২৫ অক্টোবর : পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভার ২ নম্বর ব্লকের কাদুয়া অঞ্চলের বিজেপি প্রধান রতিকান্ত দাসকে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে অচেতন করে হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে যোগদান করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল । আজ শুক্রবার রামনগর থানায় তিনি এই মর্মে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন । অভিযোগপত্রে তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা চিন্ময় দাস,মৃগাঙ্ক দাস,গোকুল মাইতি,দেবু সাউ এবং তরুণ দাসের নাম উল্লেখ করে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ওই ৫ ব্যক্তি মিলে পঞ্চায়েত ভবনে তার অফিসে ঢুকে তাকে জোর করে মাদক মেশানো ঠান্ডা পানীয় পান করানোর চেষ্টা করে৷ বাধা দিলে তাকে তারা মারধর করে । এরপর মাদকাসক্ত অবস্থায় তার হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা ধরিয়ে ভিডিও করে তারা চলে যায় । পরে তারা দাবি করে যে তিনি বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন । রতিকান্ত দাস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ।
দলীয় প্রধানের ছবি,আবেদনপত্র এবং সেই ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি লিখেছেন,তৃণমূলের দুর্বৃত্তায়ন সম্পূর্ন। এদের এমনই দুরবস্থা যে যেখানে গ্রামগঞ্জে মানুষ চোরদের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে, বিরোধী দল বিজেপির উপর আস্থা রেখে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব চোরদের হাতের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন, সেখানেও তৃণমূলের চোরেরা গণতন্ত্র মেনে নিতে না পেরে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা পেতে চায়, যাতে তারা ক্ষমতায় থেকে নিজেদের চৌর্যবৃত্তির ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয় প্রশাসনের একটা অংশ, বিডিওরাও তৃণমূলের সাথে এই অনৈতিক যোগসাজশে যুক্ত।’
এরপর তিনি লিখেছেন,’রামনগর বিধানসভার ২ নং ব্লকের কাদুয়া অঞ্চলের বিজেপি প্রধান রতিকান্ত দাস গতকাল ২৪শে অক্টোবর পঞ্চায়েতে নিজের অফিসে যখন কাজকর্ম করছিলেন, তখন তাঁকে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে অচেতন করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় এবং তারপর তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় যে তিনি আজ থেকে তৃণমূলে যোগদান করলেন। শুধু তাই নয় বিষয়টির ভিডিগ্রাফি করে স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমে দিয়ে প্রচার ও করা হয়। রতিকান্ত বাবু পরবর্তীকালে হাসপাতালে চিকিৎসা করান এবং খানিকটা সুস্থ হলে আসল বিষয়টি জানাজানি হয়।’
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সব শেষে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন,’আমি তৃণমূলের এই ধরনের নোংরামীর তীব্র নিন্দা করছি এবং সেই সাথে তৃণমূলকে সতর্ক করছি যে এই সব নোংরামি থেকে বিরত থাকুন, বিজেপি কর্মীদের এই ভাবে দলে টানতে পারবেন না।’।