ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ইসরো সফলভাবে CMS-03 উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। নৌবাহিনী এখন আরও ভালোভাবে যোগাযোগ করতে এবং শত্রু অঞ্চলের উপর নজর রাখতে সক্ষম হবে। এটি এখন পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ। ইসরো তাদের বাহুবলী রকেট, LVM3-M5 ব্যবহার করে এটি উৎক্ষেপণ করেছে।
ইসরো ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য CMS-03 (GSAT-7R) যোগাযোগ উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। এই উপগ্রহটি এখন পর্যন্ত নৌবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত উপগ্রহ। এটি নৌবাহিনীর মহাকাশ-ভিত্তিক যোগাযোগ এবং সামুদ্রিক নজরদারি ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত, এটি নৌবাহিনীর জাহাজ, বিমান এবং সাবমেরিনগুলিকে সংযুক্ত করবে।
GSAT-7R একটি যোগাযোগ উপগ্রহ, অর্থাৎ এটি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। এটি সম্পূর্ণরূপে ভারতে ডিজাইন এবং নির্মিত। এই উপগ্রহটি নৌবাহিনীর জাহাজ, বিমান, সাবমেরিন এবং সামুদ্রিক অপারেশন সেন্টারের মধ্যে দ্রুত এবং নিরাপদ যোগাযোগ প্রদান করবে।
সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হল এটি ভারতের সবচেয়ে ভারী যোগাযোগ উপগ্রহ। এর ওজন প্রায় ৪,৪০০ কিলোগ্রাম। এতে নৌবাহিনীর প্রয়োজনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি অনেক দেশীয় উপাদান রয়েছে। এটি একটি আত্মনির্ভর ভারতের একটি দুর্দান্ত উদাহরণ, যেখানে আমরা আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তিকে শক্তিশালী করছি।
এই উপগ্রহটি ২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বিকাল ৫:২৬ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্রের (SDSC-SHAR) দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এই ISRO কেন্দ্রটি রকেট উৎক্ষেপণের জন্য পরিচিত। ISRO বিজ্ঞানীরা এটি তৈরির জন্য কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
আজ, সামুদ্রিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন এবং পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির কারণে ভারত মহাসাগরে উত্তেজনা বেশি। GSAT-7R নৌবাহিনীকে মহাকাশ থেকে পর্যবেক্ষণ এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেবে। নৌবাহিনী প্রধান বলেন যে এই উপগ্রহটি জাতির সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।।

