এইদিন ওয়েবডেস্ক,জেরুজালেম,২৯ জুলাই : দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে ঐতিহাসিক একটি রায় ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট । চলতি মাসের ২১ তারিখে ওই রায়ে বলা হয়েছে,যে সমস্ত ফিলিস্তিনি নাগরিক দেশের প্রতি অনুগত নয় তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে যুক্ত ব্যক্তিদেরও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের পর এবার সন্ত্রাসবাদ, গুপ্তচরবৃত্তি বা রাষ্ট্রদ্রোহিতাসহ দেশের প্রতি ‘আনুগত্য লঙ্ঘন’ করা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে ইসরায়েল। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, আদালতের সিদ্ধান্ত শুধু অ-ইহুদি নাগরিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে । তবে শুধু ইসরায়েলই নয়,বিশ্বের অনেক দেশেই এমন আইন রয়েছে, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতাসহ বিশেষ কিছু মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তের নাগরিকত্ব বাতিল করার অনুমতি দেওয়া হয়। গত দুই দশক ধরে এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ।
ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ইসরায়েলের দুই ফিলিস্তিনি নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলার শুনানির সময় দেওয়া হয়েছে । ওই দুই ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে । উভয়কেই দীর্ঘ সাজা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সরকার তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া পক্ষপাতী ছিল । উল্লেখ্য, ইসরায়েলের ২০০৮ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রতি ‘আনুগত্য’ লঙ্ঘনকারীদের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নেওয়ার অধিকার দিয়েছে রাষ্ট্রকে ।
এদিকে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মুসলমানদের জন্য কাজ করা সংগঠনগুলি । অ্যাসোসিয়েশন ফর সিভিল রাইটস ইন ইসরায়েল এবং অ্যাডলাহ নামে একটি আরব অধিকার গোষ্ঠী সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের সমালোচনা করেছে । তারা আদালতের এই সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছে এবং আশঙ্কা করেছে যে এটি বিশেষভাবে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। প্রসঙ্গত,ফিলিস্তিন থেকে ইসরায়েলের জন্ম । ইসরায়েলের প্রায় ২০% নাগরিক ফিলিস্তিনি ।।