এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,৩১ : ঈদুল ফিতরের দিনেও হামাসের সন্ত্রাসীদের নিকেশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী । হামলায় অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাসপন্থী কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা । তারা দাবি করেছে যে রবিবার ঈদের প্রথম দিনে এই হামলায় মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে । যদিও আইডএফ জানিয়েছে, সন্ত্রাসী হামাসের একটা দল ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল । সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয় এবং সন্ত্রাসীদের নিকেশ করা হয় । খতম সন্ত্রাসীদের মধ্যে হামাসের স্নাইপার সুলেইনান আল-দিরাউইও রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরু হওয়ার পর এবার দ্বিতীয় ঈদুল ফিতর। এই দিনে ঐতিহ্যগতভাবে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করে থাকলেও এ বছর একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বোমা আর কামানের গোলার শব্দের মাঝে বলতে গেলে অনাহারে ও শঙ্কায় কাটছে ফিলিস্তিনিদের ঈদ।
এদিকে গাজায় ৮ জন চিকিৎসক, ৫ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী ও একজন জাতিসংঘের কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে রেড ক্রিসেন্ট। দক্ষিণ গাজার রাফায় এলাকায় ইসরায়েলি হামলার পর নিখোঁজ ছিলেন তাঁরা। এর এক সপ্তাহ পর তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস (আইএফআরসি) এই হত্যার নিন্দা জানিয়েছে । সংস্থাটি এ ঘটনাকে ২০১৭ সালের পর থেকে বিশ্বের যেকোনো জায়গায় তাদের কর্মীদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণের ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে ৫০ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস অবশ্য নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি বলে জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ থাকা কয়েক হাজার মানুষকে মৃত ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বাস্তুচ্যূত হয়েছে গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দার অধিকাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূখণ্ডটির বেশিরভাগ স্থাপনা। যদিও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এই তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইসরায়েল।।

