এইদিন,ওয়েবডেক্স,২৩ ফেব্রুয়ারী : গাজায় ইজরায়েলের বিমান হামলায় ৪৮ জনের মৃত্যু এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক । কর্তৃপক্ষের প্রেস অফিস বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেছে যে এই হামলার শিকার ৯০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু।ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই ইসরায়েলি হামলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়ী করে। তারা ফিলিস্তিনি বেসামরিক, বিশেষ করে ‘নারী ও শিশুদের গণহত্যা’ বন্ধের দাবি জানিয়েছে ।
একই সময়ে, জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন যে গাজা উপত্যকায় মানবিক প্রয়োজনে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সাহায্য সংস্থাগুলির পথে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তিনি গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ক্রমাগত আক্রমণের দিকেও ইঙ্গিত করেন এবং উল্লেখ করেন যে এযাবৎ এই এলাকার অন্তত ১৬০ টি স্কুল ইসরায়েলের সরাসরি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ডুজারিক আরও বলেছেন,’আমাদের মানবিক শিক্ষা বিভাগের সহকর্মীদের তদন্তে দেখা যায় যে ১৬২ টি স্কুলের ভবন সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যা গাজার মোট ৫৬৩ টি বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ ।’
এই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গাজায় কয়েক মাস ইসরায়েলি হামলার পর, ২৬ টি স্কুল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং কমপক্ষে ১,৭৫,০০০ শিক্ষার্থী এবং ৬,৫০০-এরও বেশি শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যদিও ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবী করেছে, ইজরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে সন্ত্রাসী হামাস গাজার বাসিন্দাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে । তারা স্কুল এবং হাসপাতালগুলোতে অস্ত্র ভান্ডার করে রেখে দিয়েছে । আর হামাসের এই কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে গাজার বাসিন্দারা ।
এর আগে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান সামের আবদুল জাবেরও জোর দিয়েছিলেন যে গাজার ৫,০০,০০০ বাসিন্দা মারাত্মক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এদেশের সেনাবাহিনী তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস নাশকতা চালানোর পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল । হামাসের দাবি যে এযাবৎ অন্তত ২৯ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে । যদিও সমাসের পরিসংখ্যান যাচাই করার কোন উপায় নেই । ফলে গাজায় সমাসের দেওয়া হতাহতের সংখ্যা কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে ।।