এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,০৭ নভেম্বর : গোটা গাজা উপত্যকা জুড়ে ইঁদুরের সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেখেছে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস । খাবার,পানীয় জল থেকে শুরু করে যাবতীয় বিলাসবহুল ব্যাবস্থা রয়েছে ওই সুড়ঙ্গের মধ্যে । রয়েছে অস্ত্রভাণ্ডার ও হাসপাতালও ৷ সেখানে পরিবার নিয়ে রীতিমতো সংসার ফেঁদে বসেছে সন্ত্রাসীরা । কিন্তু গাজা উপত্যকার এই বিশাল সুড়ঙ্গ মাথাব্যথার কারন হয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর । কারন সুড়ঙ্গ থেকে সন্ত্রাসী বের হয়ে আচমকা ইসরায়েলের সেনার উপর মর্টার, রকেট ও অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ফের সুড়ঙ্গে সুড়ুৎ করে ঢুকে পড়ছে । ফলে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও সন্ত্রাসীরা বহাল তবিয়তে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে৷
তাই ইসরায়েল একটি অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে । মেশিনের সাহায্যে তরল সিমেন্ট সেই সুড়ঙ্গে ঢুকিয়ে দিয়ে স্থায়ীভাবে হামাসের ইঁদুরের সুড়ঙ্গ বন্ধ করে দিচ্ছে । আর এতেই চরম বেকায়দায় পড়ে গেছে হামাস সন্ত্রাসীরা । ওই সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়েছে শত শত সন্ত্রাসী । না জুটছে তাদের খাবার বা পানীয় জল, না মিলছে চিকিৎসা পরিষেবা।
আইডিএফ ঘোষণা করেছে যে উত্তর গাজার বেইত হানুনে একটি সাম্প্রতিক অভিযানে, তারা ২০,০০০ ঘনমিটার (৫,২৮৩,৪৪১ গ্যালন) এরও বেশি কংক্রিট ইনজেক্ট করে প্রায় ৭ কিলোমিটার (৪.৩ মাইল) হামাসের টানেল সফলভাবে বুজিয়ে দিয়েছে। তারা এই অভিযানকে একটি উল্লেখযোগ্য প্রকৌশলগত সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করা করেছে, যেখানে সীমান্ত থেকে বিস্তৃত একটি বিস্তৃত পাইপলাইন ব্যবহার করা হয়েছিল। কংক্রিটের ব্যবহার ইসরায়েল ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস’ করার জন্য যে অনেক কৌশল ব্যবহার করে তার মধ্যে একটি মাত্র এবং এটিকে সম্ভাব্যভাবে বেশি সাশ্রয়ী এবং সেগুলি উড়িয়ে দেওয়ার চেয়ে কম বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়, যদিও এতে বেশি সময় লাগে ।
এদিকে হামাস নেতৃত্ব জানিয়েছে যে গাজার রাফায় ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে আটকে থাকা অন্তত ১৫০ জন সন্ত্রাসীর সাথে তাদের সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তারা আশঙ্কা করছে যে তারা অনাহারে মারা গেছে। যদিও সন্ত্রাসীদের চিরতরে নির্মুল করতে ইসরায়েলের এই রনকৌশল ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । একজন মজা করে লিখেছেন,’তাদের একে অপরকে খেতে শুরু করার সম্ভাবনা আছে কী?’ উত্তরে অন্যজন লিখেছেন,’খুব একটা সম্ভাবনা নেই। যদি ১৫০ জন লোক থাকে, তাহলে প্রথমে একজন অনাহারে মারা যাবে। যখন এমনটা হবে, তখন বাকি ১৪৯ জন অল্প সময়ের জন্য স্বস্তি পাবে। তাদের ব্যাটারি শেষ হয়ে যেতে পারে অথবা ডুবে মারা যেতে পারে, কিন্তু অনাহারে মারা যায়নি।’

