এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,২০ জুন : ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে চিরতরে নির্মুল করতে টানা আটমাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল । তারই মাঝে হামাসের দোসর ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রায় দিনই ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে । হামাসের পাশাপাশি সন্ত্রাসী হিজবুল্লাহর কোমড় ভাঙতে লেবাননের সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা করেছে ইসরাইল । এদিকে তারই প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল ও সাইপ্রাসকে হুমকি দিয়েছেন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সন্ত্রাসী হাসান নাসরাল্লাহ ৷
গাজায় ইসরাইলি অভিযান শুরুর পরই লেবানন সীমান্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সাথে সংঘাতে জড়িয়েছে হামাসের দোসর হিজবুল্লাহ । দফায় দফায় এ সংঘাতে ইসরাইলের ১৫ সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন । আর ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন হিজবুল্লাহর অন্তত ৩৪৩ সন্ত্রাসবাদী ।
চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম হাইফা শহরে হামলার হুমকি দেয় হিজবুল্লাহ। এমনকি তারা একটি পর্যবেক্ষণ ড্রোনও উড়ায়। এর পরপরই হিজবুল্লাহকে ‘ধ্বংস’ করতে লেবাননে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা করেছে তেল আবিব। এতে অনুমোদন দিয়েছেন আইডিএফের নর্দার্ন কমান্ড মেজর জেনারেল ওরি গর্ডিন ও অপারেশন ডিরেক্টরেটের মেজর জেনারেল ওদেদ বাসিউক।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর তাদের সীমান্তে হিজবুল্লাহর উপস্থিতি সহ্য করবে না তারা। ইসরাইলের এ হুঁশিয়ারর জবাবে বুধবার এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহর মহাসচিব সন্ত্রাসবাদী হাসান নাসরাল্লাহ বলেন,’যুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইলের কোনো জায়গাই নিরাপদ থাকবে না। হামলা সবখানে হতে পারে।’ ওই সন্ত্রাসবাদী সাইপ্রাসকে হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘সাইপ্রাস তাদের সাহায্য করছে। তারা তাদের বিমানবন্দর ও বিভিন্ন ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিচ্ছে ইসরাইলকে। তাই তারাও হামলা থেকে রেহাই পাবে না।’।