এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসরায়েল,০৮ অক্টোবর : দক্ষিণ ইসরায়েলে ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের দ্বারা জল,স্থল ও আকাশ পথে হামলা চালানো হয় । হামলায় তিন শতাধিক ইসরায়েলির মৃত্যু,হাজারের অধিক আহত এবং বহু মানুষকে অপহরণ করেছে হামাসের জঙ্গিরা । শনিবার রাতেও গাজা পট্টি থেকে মধ্য ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস । কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে যে এত বিপুল সংখ্যক রকেট কোথা থেকে হামাসের হাতে এল ? মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে,ওই সমস্ত রকেট হামাসের সমর্থক মৌলবাদী রাষ্ট্র ইরান সরবরাহ করেছিল । ৫০০ থেকে ১০০০ কিমি রেঞ্জের ওই সমস্ত রকেট লেবাননের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল্লাহ-এর মাধ্যমে হামাস জঙ্গিদের কাছে পাঠানো হয় । হামাসের শক্ত ঘাঁটি গাজা পট্টিতে রকেট মজুত করে ইসরায়েলের উপর পরিকল্পিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা । বেছে নেওয়া হয় ইয়োম কিপপুর(Yom Kippur) যুদ্ধের ৫০ বর্ষপূর্তির দিনটি । উল্লেখ্য,১৯৭৩ সালের ৬ অক্টোবরে মিশর, সিরিয়া এবং ইস্রায়েলের মধ্যে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল । যাতে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল ।
এদিকে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর ‘অপারেশন আয়রন সোর্ড’ অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল । শনিবার গাজা পট্টির ১৭ ঠিকানায় একযোগে হামলা চালায় ইসরায়েলের বাহিনী । ওই হামলায় অন্তত ২০০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু এবং দেড় থেকে ২ হাজার আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন । গ্রেফতার করা হয়েছে বহু ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীকে । পাশাপাশি ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা শনিবার দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং পণ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সামরিক ও সরকারি ক্ষমতা উভয়ই ধ্বংস করার জন্য নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গভীর রাতে বৈঠকে নেওয়া বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের মধ্যে এটি একটি। গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি আগামী বহু বছর ধরে ইসরায়েলের নাগরিকদের হুমকি ও ক্ষতি করার তাদের ক্ষমতা এবং ইচ্ছাকে ব্যর্থ করবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের পিএমও।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন,’আমরা একটি দীর্ঘ এবং কঠিন যুদ্ধে যাত্রা করেছি। হামাসের একটি হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে যুদ্ধ আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ।’
শনিবার হামাস সন্ত্রাসীদের হাতে তিন শতাধিক ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আইডিএফ পাল্টা লড়াই করছে, তবুও ১,৫০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে। আইডিএফ নিশ্চিত করেছে হামাসের কাছে বহু ইসরায়েলি এখনো জিম্মি রয়েছে । তাদের জীবিত উদ্ধার করাই এখন মূল উদ্দেশ্য ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন,’সব জায়গায় হামাস জঙ্গিদের মোতায়েন করা হয়েছে, লুকিয়ে আছে এবং নাশকতা চালাচ্ছে, সেই দুষ্ট শহরকে আমরা সেগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করব। আমি গাজার বাসিন্দাদের বলছি,এখনই গাজা পট্টি ছেটে চলে যান কারণ আমরা সর্বত্র জোরপূর্বক অভিযান চালাব ।’।