পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে, তখন এক অদ্ভুত জিনিস দেখা যায়। হঠাৎ করেই দেশজুড়ে মুসলমানদের আন্দোলনের কণ্ঠস্বর থেমে গেল। যারা সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন তারা হঠাৎ করেই চুপ হয়ে গেলেন। কিন্তু কেন….??
কোনও বিক্ষোভ হয়নি, কোনও স্লোগান দেওয়া হয়নি, কোনও মওলানা বা মৌলবীকে পাকিস্তান বা সন্ত্রাসী হামলার পক্ষে কিছু বলতে দেখা যায়নি। বিপরীতে, সরকারের সমালোচনায় সর্বাগ্রে থাকা আসাউদ্দিন ওয়াইসি এবং মাদানির মতো নেতাদেরও সরকারের সামরিক পদক্ষেপকে প্রকাশ্যে সমর্থন করতে দেখা গেছে। এই নীরবতা কিন্তু স্বাভাবিক নয় ! এটি একটি আভাস হতে পারে—আসন্ন বিপদের সতর্কীকরণ ।
একবার ভাবুন তো, যখন পহেলগাম হামলার পর গোটা দেশ ক্ষুব্ধ ছিল, তখন হিন্দু বিরোধী নেতারা সরকারকে প্রশ্ন তুলছিলেন, কিন্তু মুসলিম নেতারা কেন সম্পূর্ণ নীরব হয়ে গেলেন ? এটা কি শুধুই ভয় ছিল নাকি আরও বড় কোনও পরিকল্পনা ? সূত্রের খবর, মোদী সরকারের পাকিস্তানি ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের কারণে মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে । কিন্তু এই নার্ভাসনেস প্রকাশ্যে দেখা যায় না। এর কারণ হলো – গত ২৫-৩০ বছরে, ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলিম মহিলা পাকিস্তানে বিয়ে করেছেন। অনুমান করা হয় যে এই বিবাহগুলির মাধ্যমে ভারতে ৭৫ লক্ষ থেকে ১ কোটি পাকিস্তানি জিহাদির জন্ম হয়েছে। স্বামী পাকিস্তানে থাকে…স্ত্রী ও সন্তানরা ভারতে। বিয়ের পরেও, মেয়েদের নাগরিকত্ব ভারতীয়ই থাকে।
যদি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে এই লোকেরা দেশের অভ্যন্তরে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কারণ ভারত জুড়ে হাজার হাজার মুসলিম পরিবারের মেয়েদের বিয়ে হয় পাকিস্তানে । এখন প্রশ্ন জাগে—সেই মহিলাদের লক্ষ লক্ষ আত্মীয়স্বজন কি যুদ্ধের সময় ভারতের প্রতি অনুগত থাকবে? তারা কি তাদের স্বামীদের মরতে দেবে ? কেউ কি তার বোনদের বিধবা হতে দেবে?কোনভাবেই না…..।
যাই হোক,এই সম্পর্কের আড়ালে অনেকেই সরকারি চাকরি করছেন। এটা সম্ভব যে তারা তাদের নিজের মেয়ে এবং নাতিনাতনিদের মাধ্যমে পাকিস্তানে গোয়েন্দা তথ্য পাঠাচ্ছে । এটা শুধু একটা সন্দেহ নয়—বরং, এই কারণেই ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ছড়াতে পাকিস্তান খুব বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হয় না। এটি একটি সুপরিকল্পিত জিহাদি নেটওয়ার্ক। যা ১৯৪৭ সালের পরেই নির্মিত হতে শুরু করে।
এখন, মোদী সরকার ভিসা বাতিল করার পর, সত্যটি বেরিয়ে আসছে যে লক্ষ লক্ষ পাকিস্তানি মহিলা এখনও ভারতীয় নাগরিকত্ব ধরে রেখেছে । এই মহিলারা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে থাকেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে থাকেন এবং তাদের পাকিস্তানি আত্মীয়দের ভারতে ডেকে চিকিৎসার নামে রেইকি করেন । এই সমস্ত সম্পর্ক, বিবাহ সংক্রান্ত বিষয়গুলি এখন দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদি ভারত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে এই লোকেরাই দেশের ভেতর থেকে আক্রমণ করবে । কারণ তাদের সম্পর্ক, তাদের অনুভূতি, তাদের আনুগত্য ভারতের সাথে নয়,তারা মনেপ্রাণে পাকিস্তানের সাথে আছে৷ সেজন্য একটি শক্তিশালী আইন প্রণয়ন করা গুরুত্বপূর্ণ।
পাকিস্তানে বিবাহিত মহিলাদের সকল সরকারি প্রকল্পের জন্য যোগ্যতা বাতিল করা উচিত। তাদের রেশন কার্ড এবং পাসপোর্ট বাতিল করা উচিত। তাদের ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, প্রতিটি কার্যকলাপ নজরদারিতে রাখা উচিত । তাদের এবং তাদের সন্তানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব বিলুপ্ত করা উচিত । যদি নিয়ম ভঙ্গ করা হয়, তাহলে তাদের বিলম্ব না করে জেলে পাঠানো উচিত। আর যদি তাদের স্বামী এবং পরিবার পাকিস্তানে থাকে, তাহলে তাদেরও সেখানে পাঠানো উচিত। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার চেয়ে বড় সমস্যা আর কিছু নেই । আর এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিপদ হল-ঘরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা শত্রু… যারা মনে করেন যে এই সবই গুজব, তাদের বুঝতে হবে যে এই “নিকাহবাজি জিহাদ” একটি বাস্তবতা। আর যদি আমরা এখনই না জাগি, আগামীকাল অনেক দেরি হয়ে যাবে ।
বর্তমান বাংলাদেশকে দেখলে এই আশঙ্কাকে অমূলক বলে মনে হবে না । কারন বাংলাদেশের ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ হিন্দু ও মুসলিম মহিলাকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও এবং রাজাকাররা৷ গণহত্যামূলক ধর্ষণ অভিযান চালিয়ে ২,০০,০০০ থেকে ৪,০০,০০০ বাঙালি নারী ও মেয়েকে ধর্ষণ করে। পাকিস্তানের নীতি ছিল, “রক্ত কখনো বেইমানি করবে না” । অর্থাৎ তাদের ঔরসজাত সন্তানরা তাদের পক্ষেই কথা বলবে । আর হচ্ছেও তাই । যদিও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের সমর্থকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকারদের বেশিরভাগই ছিলেন হিন্দু নারী। কিন্তু তাদের ঔরসজাত সন্তানরাই আজ পাকিস্তান প্রেমী…কট্টর জিহাদি । যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল প্যারিস প্রবাসী বাংলাদেশি পিনাকি ভট্টাচার্য । যে হিন্দু নাম ও ব্রাহ্মণ পদবি ব্যবহার করে কট্টর ইসলামি জিহাদির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, পাকিস্তানের নীতিকে সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে । কাগজে কলমে তার বাবা বাংলাদেশের বগুড়ার শ্যামল ভট্টাচার্য এবং মা সুকৃতি ভট্টাচার্য হলেও পিনাকির আসল পিতৃ পরিচয় ভিন্ন । ‘ভট্টাচার্য’ পদবি হলেও পিনাকি আদপে একজন পাকিস্তানি রাজাকারের ‘জারজ সন্তান’ এবং ধর্ষণে জন্ম তার । আর এই সত্য প্রকাশ্যে আনেন আমানউল্লাহ খান নামে শ্যামল ভট্টাচার্যর একজন বন্ধু । তার সেই স্বীকারোক্তি ১৪১৯ বঙ্গাব্দের ২৮ শে শ্রাবণ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয় বাংলাদেশের সংবাদপত্র দৈনিক ইত্তেফাক-এ । তিনি জানান,১৯৬৫ সালে বগুড়ার এসডিইও হিসেবে যোগ দেওয়া পাকিস্তানের লাহোর নিবাসী সোয়েব আব্দুল্লাহ হল পিনাকির আসল বাবা । সুকৃতি ভট্টাচার্যর ধর্ষক । এছাড়া, বাংলাদেশের বর্তমান শাসকরাও মূলত পাকিস্তানের বীজ থেকে জন্ম…তাই তারা পাকিস্তানকেই নিজেদের আদর্শ ভাবে । আর এটা বিন্দুমাত্র অতিরঞ্জিত নয়….বরং এটাই তিক্ত সত্য ।।
★প্রতিবেদনটি পন্ডিতজি টিপিএন(@Brand_Netan) এর এক্স হ্যান্ডেলে লেখা পোস্টের অনুবাদ । যিনি প্রতিবেদনের শিরোনাম দিয়েছেন “নীরব গৃহযুদ্ধের পদধ্বনি” । নিজে লিঙ্ক দেওয়া হল 👇

