এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিরিয়া,০৯ মার্চ : ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর,হামাস সন্ত্রাসীদের দ্বারা পরিচালিত নৃশংসতার প্রতিধ্বনি শোনা গেল সিরিয়ায় । গত ৭ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সিরিয়ায় জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর গণহত্যা চলেছে । তথাকথিত ‘নতুন সিরিয়া’য় জিহাদি শাসনের জাতিগত নির্মূল অভিযানের অংশ হিসেবে,তুরস্ক ও আজারবাইজান সমর্থিত ইসলামি স্টেট(আইএসআইএস) ও আল-কায়েদা-অনুমোদিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘আহমদ আল-শারা’ সিরিয়ায় খ্রিস্টান নরসংহার চালাচ্ছে । গত ৪৮ ঘন্টায় নতুন সিরিয়ায় ১০০ জনেরও বেশি খ্রিস্টানকে হত্যা করা হয়েছে । গত কয়েক দিনে মৃতের সংখ্যা ১,৮০০-এ পৌঁছেছে, অনেক নিহতের এখনও হিসাব পাওয়া যায়নি। এই সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা পুরো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। ডঃ মালাউফের কথায়,’সিরিয়ার দৃশ্যগুলো ভয়াবহ। জানা গেছে যে ইসলামপন্থী বাহিনী যাদেরকে কাফের মনে করে তাদের দেখামাত্রই হত্যা করার জন্য সরকারি নির্দেশ রয়েছে। খ্রিস্টান, ড্রুজ, ইয়াজিদি, এমনকি আলাউইত মুসলিমরাও এখন গণহত্যার মুখোমুখি হচ্ছে।’
জানা গেছে,সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আহমদ আল-শারা আলাউইট এবং খ্রিস্টানদের পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে । হাফেজ মঈন দিব, তার স্ত্রী এবং তার ৪ সন্তানকে কেবল আলাউইট সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এইচটিএস সন্ত্রাসীরা তাকে স্বৈরশাসক আসাদের প্রাক্তন সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করেছিল । শুক্রবার মঈন দিবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে তার সামনে তার মেয়ে এবং ছেলে এবং তারপর তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয় ।
ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটির নৃশংসতার একটা ভিডিও সামনে এসেছে । ভিডিওতে এক সংখ্যালঘু যুবককে হাঁটু মুড়ে বসানো হয় । তারপর তার পিঠ লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা এবং সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবক মুখ থুবড়ে পড়ে যায় । সিরীয় খ্রিস্টান ও আলাউই সংখ্যালঘুদের উপর গণহত্যার প্রথম কয়েক ঘন্টায়, তুরস্কের সরকার গণহত্যা অব্যাহত রাখার জন্য সেনাবাহিনীকে সাহায্য পাঠায় বলে জানা গেছে ।।