এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,২৯ ফেব্রুয়ারী : জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসলামী স্টেটের (আইএসআইএস) খোরাসান শাখার হুমকির বিষয়ে তার ১৮ তম প্রতিবেদনে বলেছেন যে এই দলটি তেহরিক-ই- তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) গুদামগুলি থেকে অস্ত্রশস্ত্র নেওয়ার মতলব করছে । ডেইলি এক্সেলসিয়র বুধবার রাতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছে, তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার পর টিটিপি এসব অস্ত্র পেয়েছে । গুতেরেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলি আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় অস্ত্রের বিস্তারের পাশাপাশি আইএসআইএস দ্বারা ড্রোন এবং ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইসের ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ জোর দিয়ে বলেছে যে আফগানিস্তান ত্যাগের পর আমেরিকার বেশিরভাগ সামরিক সরঞ্জাম তালেবানদের দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, আইএসআইএসের খোরাসান শাখা টিটিপির কাছ থেকে এমন অস্ত্র খুঁজছে, যেটির সাথে তালিবানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
জাতিসংঘ এখনও আইএসআইএসকে আফগানিস্তান ও অঞ্চলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসআইএসের খোরাসান শাখার নেতা সানাউল্লাহ গাফারি এখনও জীবিত এবং সম্ভবত কুনারে জামাত-উল-আহরার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় হামলায় আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আইএসআইএস পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের সদস্যদের বিরুদ্ধে তালিবানের নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট অভিযোগকে ব্যবহার করে আফগানিস্তানে এই গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে নানগারহার এবং কুনার প্রদেশে জামাত আনসারুল্লাহর বেশ কয়েকজন কমান্ডারও আইএসআইএস-এর সাথে যোগ দিয়েছে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে আইএসআইএসের পদে আফগানদের নিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই গোষ্ঠী তাদের অপারেশনে ব্যবহার করে।
উল্লেখ্য,এই প্রতিবেদনটি দায়েশ, আল-কায়েদা, তালিবান এবং তাদের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা সমর্থক এবং পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষণী দল তৈরি করেছে।জাতিসংঘের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আফগানিস্তানে বর্তমানে আইএসআইএসের খোরাসান শাখার প্রায় চার হাজার সন্ত্রাসী রয়েছে। যদিও তালিবানরা আফগানিস্তানে আইএসআইএস-এর উপস্থিতির কথা সবসময় অস্বীকার করে আসছে।।