এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,২৩ জুন : সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গির্জায় আত্মঘাতী হামলা হয়েছে। এতে ২২ জন নিহত হয়েছে । আহত হয়েছেন ৬৩ জন । সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার জন্য ইসলামিক স্টেট (IS) গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে। জানা গেছে, রবিবার (২২ জুন) একটি প্রার্থনা সভায় এই হামলাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে একজন আত্মঘাতী সন্ত্রাসী গির্জার ভিতরে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে,’রাজধানী দামেস্কের ডোয়েলা এলাকার সেন্ট ইলিয়াস গির্জার ভেতরে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী প্রবেশ করে, যে গির্জাটি আইসিস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত ছিল। সেখানে সে প্রথমে নির্বিচারে গুলি চালায় এবং তারপর একটি বিস্ফোরক জ্যাকেট দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।’ তবে, কুখ্যাত ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস এখনো এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। বিস্ফোরণের পরপরই নিরাপত্তা কর্মী এবং জরুরি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে হামলার সময় গির্জায় ৩৫০ জন প্রার্থনা করছিলেন। সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী হামজা আল-মুস্তফা বলেছেন,এই কাপুরুষোচিত আক্রমণ নাগরিকত্বের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যা আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে। আমরা, সিরিয়ার নাগরিক হিসেবে, জাতীয় ঐক্য এবং নাগরিক শান্তির গুরুত্বের উপর জোর দিই। এবং সমাজের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জোরদার করার আবেদন জানাই।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সিরিয়ায় এটি একটি বড় আক্রমণ এবং এটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন সিরিয়া সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে । উল্লেখ্য,সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়দার নেতা আহমেদ আল-শারা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রাক্তন সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং তার জায়গায় একটি ইসলামী সরকার গঠন করে । অন্যদিকে, আসাদের পতনের পর আইএস গোষ্ঠী নিজেদের পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। আর ওই দুই ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের নিশানা হচ্ছে সিরিয়ার সংখ্যালঘু খ্রিস্টানরা । সিরিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকেই খ্রিস্টান অধ্যুষিত গ্রামগুলি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে । সেই সমস্ত নৃশংস হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালও হয় ।।

