এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৪ এপ্রিল : বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ কাণ্ডে কলকাতার অদূরে কাঁথি থেকে হামলার মাস্টারমাইন্ড আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা (Adbul Matheen Taha)ও তার সাগরেদ মুসাভির হুসেন সাজিবকে(Mussavir Hussain Shazeb) গ্রেফতার করেছে এনআইএ (National Investigation Agency) । শুক্রবার সকালে দিঘার একটি হোটেল থেকে কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামি স্টেটের (আই এস আই এস) ওই দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয় । তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য । এনআইএ জানতে পেরেছে যে রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রের শুধু ওই দুজনই নয়,মোজাম্মেল শেরিফ নামে আর এক সন্ত্রাসী যুক্ত ছিল । সে কলকাতার ধর্মতলায় আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সাজিবের সঙ্গে দেখা করে নতুন নাশকতা চালানো ও খরচ খরচার জন্য এক লাখ টাকা দিয়েছিল । এমনকি বেঙ্গালুরুর কাফেতে বিস্ফোরণের জন্য মতিন আহমেদ ত্বহার হাতে বিস্ফোরক তুলে দিয়েছিল মোজাম্মেল, এনআইএ সূত্রে এমনটাই খবর ।
অবশ্য গত ২৭ মার্চ এনআইএ-এর হাতে ধরা পড়েছে মোজাম্মেল শেরিফ । আর তাকে জেরা করেই পাওয়া যায় মতিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সাজিবের হদিশ । রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ বিস্ফোরণ ঘটানোর পর বেঙ্গালুরু থেকে প্রথমে চেন্নাই এবং সেখান থেকে তেলেঙ্গানা হয়ে ১০ মার্চ কলকাতায় এসে আসে ওই দুই ইসলামি স্টেট সন্ত্রাসী । তারপর দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে ধর্মতলা থেকে খিদিরপুর, লেনিন সরণি থেকে এস এন ব্যানার্জি রোডে অবাধে বিচরণ করে কারা । গত ১২ থেকে ১৪ মার্চ- ধর্মতলা ও লেনিন সরণির দুটি হোটেলে, ২১ থেকে ২৮ মার্চ খিদিরপুর ও একবালপুরের হোটেলে এবং ২৮ মার্চ দুপুরের দিকে তারা দিঘার একটা হোটেলে গিয়ে ওঠে । কলকাতা জুড়ে দুই ইসলামী স্টেট সন্ত্রাসী ধাপিয়ে বেড়ালো রাজ্য পুলিশ টেরও পায়নি । ফলে রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।
এদিকে জানা গেছে যে রাঁচিতে আইএস জঙ্গি মডিউলের সন্ধান পেয়েছে এনআইএ। রাঁচিকে কেন্দ্র করে ঝাড়খণ্ডে মডিউল তৈরি করে সন্ত্রাসী নিয়োগ এবং তহবিল সংগ্রহের কাছ শুরু করেছে ওই সন্ত্রাসী সংগঠনটি । আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন সাজিব কলকাতায় চারদিন হোটেলে আত্মগোপন করার পর ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে পালিয়ে যায় এবং তারা আইএস-এর একটি স্লিপার সেলে গা ঢাকা দেয় । রাঁচিতে সাতদিন থাকার পর গত ২১ মার্চ ফের তারা কলকাতায় ফেরে ।কলকাতার এনআইএ বিশেষ আদালত দুই সন্ত্রাসীকে এনআইএকে সংস্থাকে তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছে । এখন দেখার বিষয় যে ভারতে ইসলামী স্টেট মডিউল আর কত দূর পর্যন্ত শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছে ।।