এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,০৮ মার্চ : বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম ক্যাফে বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেয়েছে। এই ঘটনায় তিনজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । পাকড়াও করা হয়েছে সন্দেহভাজন মূল সন্ত্রাসী মিনাজ ওরফে সুলেমানকেও । পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে, বেল্লারির বাসিন্দা সৈয়দ সমীর, মুম্বাইয়ের বাসিন্দা আনাস ইকবাল শেখ এবং দিল্লির বাসিন্দা শায়ান রহমান ওরফে হুসেনকে এনআইএ আধিকারিকরা হেফাজতে নিয়ে ম্যারাথন জেরা করছে এনআইএ । ধৃত সন্ত্রাসীদের জেরা করে এনআইএ জানতে পেরেছে যে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বোমা বিস্ফোরণে আইএসআইএসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তারা দেশে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল । বর্তমানে ধৃত সন্দেহভাজনদের বেলারীতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।
অন্যদিকে শিবমোগা আইএসআইএস ষড়যন্ত্র মামলায় আরাফাত আলী নামে আরও এক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে চার্জশিট(RC-46/2022/NIA/DLI) পেশ করেছে এনআইএ । আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এনআইএ একটি প্রেস রিলিজে একথা জানিয়ে বলেছে, মামলাটি ম্যাঙ্গালুরুতে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন, ইসলামিক স্টেট (আইএস), লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি),তালিবানকে সমর্থন করে গ্রাফিতি লেখার সাথে সম্পর্কিত।
এনআইএ বিবৃতিতে জানিয়েছে,আরাফাত ২০২০ সালের জানুয়ারীতে গ্রাফিতি লেখার জন্য অন্য অভিযুক্তকে উগ্রপন্থী করেছিলেন এবং ভাড়া করেছিলেন, ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কেনিয়া থেকে ফেরার সময় নয়াদিল্লির টি ৩ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে এনআইএ দ্বারা গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । অন্য একটি মামলায় (আল-হিন্দ মডিউল মামলা) দুই পলাতক আসামি আব্দুল মাথিন ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন শাজেবের সাথে যোগসাজশের অভিযোগ ওঠায় গ্রেফতারির ভয়ে তিনি দুবাইতে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
এনআইএ তদন্তে জানতে পেরেছে,আব্দুল মাথিন এবং মুসাভির হুসেনের নির্দেশে আরাফাথ মহম্মদ শারিক, মাজ মুনির আহমেদ এবং অন্যদেরকে মাঙ্গালুরির দুটি জায়গায় সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে গ্রাফিতি লিখতে প্ররোচিত করেছিল । আরও জানা গেছে যে আরাফাথ, তার সহযোগী এবং অনলাইন হ্যান্ডলারের সাথে, আইএস/আইএসআইএস-এর সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল ।
বিবৃতিতে পরিশেষে বলা হয়েছে,’আরাফাত তার অনলাইন হ্যান্ডলারের কাছ থেকে ক্রিপ্টো- কারেন্সি আকারে প্রাপ্ত তহবিল দিয়ে গ্রাফিতি লেখকদের অর্থ প্রদান করেছিলেন। এনআইএ এর আগে মহম্মদ শারিক এবং মাজ মুনির আহমেদ সহ নয়জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি প্রধান এবং একটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছিল৷ মামলার আরও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ ৷।