এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৮ নভেম্বর : স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে । তখন মোট জনসংখ্যার ১৩.৫ শতাংশ ছিলো হিন্দু ৷ তারপর যত সময় গড়িয়েছে ততই কমেছে হিন্দু জনসংখ্যা । ১৯৮১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী হিন্দু মোট জনসংখ্যার ১২.১ শতাংশ । তারপর ১৯৯১ সালে ১০.৫, ২০০১ সালে ৯.৩ এবং ২০১১ সালে ৮.৫ এবং সর্বশেষ ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৭.৯৫ শতাংশে এসে নেমেছে হিন্দু জনসংখ্যা । এবারে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের নির্মুল করতে রীতিমতো আদাজল খেয়ে আসরে নেমে পড়েছে ইসলামি জিহাদি সংগঠনগুলি ।
এতদিন জোর পূর্বক এবং লাভ জিহাদের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করার ঘটনার কথা শোনা যেত । তবে এবার ধর্মান্তরিত করার পদ্ধতি শিক্ষা দিতে জিহাদিদের জন্য রীতিমতো ট্রেনিং সেন্টার খুলে বসেছে কিছু ইসলামি ইনস্টিটিউশন । এই রকমই একটি জিহাদি সংগঠন হল “ইসলামি দাওয়াহ ইনস্টিটিউশন” । “অমুসলিমদের মাঝে দাওয়াহ প্রশিক্ষণ কোর্স”-এর নামে তারা খোদ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বসে চালাতে শুরু করেছে জিহাদি প্রশিক্ষণ শিবির । সম্প্রতি লিফলেট বিলি করে
এক বছরের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য মুসলিম যুবকদের ভর্তি হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ।
লিফলেটে বলা হয়েছে, অমুসলিমরা “চিরস্থায়ী জাহান্নামে ঝাঁপ দিচ্ছে, তাদের বাঁচাতে কোনো নবী রসুল আসবে না, নবীর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে আমাদেরই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে ।” লিফলেটের একেবারে নিচে লেখা “হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টানদের দাওয়াত দেওয়ার পথ ও পদ্ধতি” । লিফলেটের ডানদিকে ওই ইনস্টিটিউশনের মালিকের নাম লেখা আছে ।
মুফতি যুবায়ের আহমদ নামে এক জিহাদি দ্বারা পরিচালিত ওই ইনস্টিটিউশনটি নিজেদের “দাওয়াহ বিষয়ক গবেষণামূলক উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান” বলে দাবি করলেও এটি আদপে একটি জিহাদি প্রশিক্ষণ শিবির বলে মনে করতে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ । এদিকে প্রকাশ্যে এভাবে ধর্মান্তরিত করার খেলা চললেও নিশ্চুপ বাংলাদেশ সরকার ।।