এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২১ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) । মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অবৈধ তদারকি সরকার আসার পরেই ইউনূসের প্রত্যক্ষ মদতে তারা ছদ্মবেশী ‘ঢাকা সেল’ গঠন করেছে । যে “সেল” টি বাংলাদেশে অস্থিরতার সৃষ্টি করে ভারতে নাশকতার ছক কষছে । ফলে আইএসআই-এর ছদ্মবেশী ‘ঢাকা সেল’ ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে ।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে যে, ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের অন্দরেই গোপনে তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ ইউনিট, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঢাকা সেল’। এই সেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি এবং নির্বাচনী অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে ।কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের ঢাকা সফরের পরেই এই সেল গঠন করা হয়। এতে পাকিস্তানের সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্রিগেডিয়ার, কর্নেল ও মেজরও যুক্ত রয়েছে বলে জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা । তাদের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশে মৌলবাদী কার্যক্রম বৃদ্ধি, সন্ত্রাসী নিয়োগ এবং বড়সড় নাশকতা চালানো।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, সম্প্রতি ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, তা এই সেলের পূর্বপরিকল্পিত অপারেশনের অংশ। অক্টোবর থেকে এই সেল বড় ধরনের গোলযোগ তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচনের ঘোষণা হলে তারা সুযোগ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছিল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধের গ্লানি থেকে পাকিস্তানের এই কৌশল । আইএসআই মূলত ভারতকে টার্গেট করছে এবং পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি, ‘স্লিপার সেল’ সক্রিয়করণ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানোই তাদের বৃহত্তর এজেন্ডা। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে এবং পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় লসম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সক্ষম বলে আত্মবিশ্বাসী নয়াদিল্লি।।
