এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৯ মে : বহু চর্চিত হিন্দি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র এরাজ্যে শেষ শো হয়ে গেল সোমবার রাতে । কারন সোমবার গভীর রাতে নবান্ন থেকে পাঠানো একটি নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহগুলিকে ছবিটি না দেখানোর জন্য বলা হয়েছে বলে মিডিয়ার খবর । সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকেই তার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফলে এক সময়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘ফ্রিডম অফ একপ্রেশন’-এর বিষয়ে সরব হওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানসিকতা নিয়ে দেশ জুড়ে প্রশ্ন উঠছে,হচ্ছে সমালোচনাও । এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘দিদির দ্বিচারিতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনও এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন । তিনি টুইট করেছেন,’আমি নিষিদ্ধ করা ও সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে। যদি একটা ছবি লক্ষাধিক মানুষ নাও পছন্দ করেন এবং কয়েকজন যদি সেটি পছন্দ করেন তাহলে সেই ছবিটি দেখার অধিকার ওই সমস্ত মানুষদের থাকা উচিত ৷’ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মমতা অফিসিয়াল কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল ?’ পাশাপাশি তিনি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার একটি টুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘আমি যতদূর জানি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি কেরালার ধর্মীয় অনুশাসনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে । নারীরা কিভাবে চরমপন্থী ধর্মীয় ধর্মগুরুদের দ্বারা উগ্রপন্থী হয় তা এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে । এই ফিল্মটিতে তুলে ধরেছে কিভাবে কেরালায় নারীদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল এবং আফগানিস্তান, ইয়েমেন এবং সিরিয়ার মতো দেশে উগ্র সন্ত্রাসী সংগঠন – আইএসআইএস-এর হয়ে লড়াই করার জন্য পাঠানো হয়েছিল ।’
তিনি লিখেছেন,’এই ছবিটি আইএসআইএস এবং এর কার্যপ্রণালীর বিরুদ্ধে । সিএম মমতা অফিসিয়াল কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল ?? এই সিনেমাটি প্রদর্শিত হলে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে কেন ? সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত, অন্যথায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’
এরপর শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’মনে রাখবেন মাননীয় কেরালা হাইকোর্ট রাজ্যে ছবিটির প্রদর্শনে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে । বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব এবং প্রবীণ অভিনেতা শাবানা আজমি জিও ছবিটির সমর্থনে বেরিয়ে এসেছেন এবং টুইট করেছেন যে একবার একটি চলচ্চিত্র সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন দ্বারা পাস হয়ে গেলে ছবিটির বিষয়ে কারোরই অতিরিক্ত সাংবিধানিক অধিকার থাকে না ।’।