এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৬ অক্টোবর : কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামি স্টেট (আইএসআইএস) মডিউলের সাথে জড়িত পিএইচডি ছাত্র মোহাম্মদ আরশাদ ওয়ার্সিকে (Mohammad Arshad Warsi) গত সোমবার(২ অক্টোবর ২০২৩) গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল । ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, মোহাম্মদ আরশাদ ওয়ার্সি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিটেক ডিগ্রি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে সে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) তে পিএইচডি করছিল ।
ওপি ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী,তদন্তকারী দল জানতে পেরেছে যে ২০২০ সালের হিন্দু-বিরোধী দিল্লি দাঙ্গার ষড়যন্ত্রকারীদের সাথেও যোগাযোগ করেছিল আরশাদ ওয়ার্সি । আইএসআইএস পুনে মডিউলের সাথে জড়িত জামিয়া মিলিয়া ইসলামির ছাত্র আরশাদ ওয়ার্সির বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা সহ বিভিন্ন বেআইনী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে । দিল্লিতে হিন্দু বিরোধী দাঙ্গার সময় শারজিল ইমামের সাথে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল এবং চার্জশিটেও নাম রয়েছে তার ।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে দিল্লিতে সিএএ- এন আরসি বিক্ষোভের সময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পিছনে ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল আরশাদ ওয়ার্সি । শাহীনবাগ কান্ডেও প্রত্যক্ষ যোগসূত্র ছিল তার । আইএসআইএস মডিউল মামলায় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল শফি উজ্জামা এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান আশরাফ নামে আরও দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে । দিন কয়েক জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) দ্বারা ৩ লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা সন্ত্রাসী পেশায় প্রকৌশলী শাহনওয়াজকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল । আইএসআইএস পুনে মডিউল মামলায় ওয়ান্টেড ছিল শাহনওয়াজ । মোহাম্মদ আরশাদ ওয়ার্সিকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশিত তথ্যের পরে, দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল শাহনাওয়াজকে সনাক্ত করতে এবং গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ।
জানা গেছে,ধৃত ওয়ার্সি জেএমআই-এর ছাত্র সংগঠন ‘স্টুডেন্টস অফ জামিয়া (এসওজে)’-এর সাথে যুক্ত ছিল । সোমবার তাদের গ্রেফতারের পুলিশ জানতে পারে যে ওয়ার্সি, শাহনওয়াজ এবং আশরাফ বিভিন্ন ধরণের ধর্মীয় অনুপ্রেরণার সাথে সম্পর্কিত অনলাইনে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত এবং ভারতের মধ্যে নাশকতা চালানোর জন্য কৌশল তৈরি করেছিল ।পুলিশ দিল্লিতে শাহনওয়াজের গোপন ঠিকানা থেকে পিস্তল, কার্তুজ, মৌলিক প্লাস্টিক সামগ্রী এবং পাইপ সহ বোমা তৈরির ম্যানুয়াল বাজেয়াপ্ত করে বলে জানা গেছে । এমনকি শাহনওয়াজকে তাদের পাকিস্তান- ভিত্তিক হ্যান্ডলাররা বোমা তৈরির পদ্ধতি এবং কীভাবে বোমার শক্তি বাড়ানো যায় সে সম্পর্কে পিডিএফ নথি পর্যন্ত পাঠিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারী দল ।
জানা যায় যে মহম্মদ আরশাদ ওয়ার্সি শ্রীরাম জন্মভূমি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে ফেসবুকে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করেছিল । পুলিশ আরশাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে সে 2016 ২০১৬ সাল থেকে কট্টরপন্থী ভাবধারায় আকৃষ্ট হয় । শাহনাওয়াজের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই তার ঘনিষ্ঠতা ছিল এবং উভয়ই একসাথে ভারতে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল । ভারতের মুসলিম শিক্ষিত সমাজে এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা খুবই মারাত্মক প্রবণতা বলে মনে করেছে অভিজ্ঞ মহল ।।